মমতার ফোনে আড়িপাতা-কাণ্ডে এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল, তিনিও অভিযোগ পেয়েছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়িপাতা ইস্যুতে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। মমতাকে একহাত তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী প্রমাণ আছে জানি না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়িপাতা ইস্যুতে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। মমতাকে একহাত তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী প্রমাণ আছে জানি না। তবে আমার কাছে অনেকে উল্টেো অভিযোগ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন ফোন ট্যাপ ইস্যুতে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, আমার কাছে অনেকে অভিযোগ করেছেন বাংলায় গোপনীয়তা লঙ্ঘণ হচ্ছে। বাংলায় ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্যে ফের রাজ্য ও রাজ্যপাল সম্মুখ সমরে নামে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগেন সাংবিধানিক প্রধান। তা নিয়ে ফের উত্তাল রাজ্যরাজনীতি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের তরফে তাঁর ও তাঁর অফিসিয়ালদের ফোনও ট্যাপ করা হয়েছিল। ফলে কোনও হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ঢুকছিল না ফোনে। লোকসভা নির্বাচনের সময়ের এই ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে এই মর্মে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর রে-রে করে ওঠেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জবাব চান, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে যে কেন্দ্রীয় সরকার আড়ি পাতছে তার কী প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, আসলে ভোটে হেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্টোপাল্টা বকতে শুরু করেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দেন, যেটুকু সময় আছেন সঠিকভাবে কাজ করার।
আবার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফোন-ট্যাপ বা ফোনে আড়িপাতা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে কৈলাশ বলেন, মমতার সরকারও ফোন ট্যাপ করে। তাদের উচিত আগে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখা। তারপর অন্য কারও বিরুদ্ধে আঙুল তোলা। এবার রাজ্যপালও সরব হলেন মমতার বিরুদ্ধে। তিনিও বিজেপি নেতাদের সুরেই কথা বললেন এ প্রসঙ্গে।