সংবিধান বিরোধী হলে আচার্য বিল গ্রহণ নয়! সংঘাত বাড়িয়ে নবান্নকে বার্তা রাজ্যপালের
রাজ্যপালকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। যা নিয়ে নয়া রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিধানসভায় এই বিল পাশ হয়ে গেলেও
রাজ্যপালকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। যা নিয়ে নয়া রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিধানসভায় এই বিল পাশ হয়ে গেলেও এবার তা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে পাঠানো হবে। তিনি সই করলেই তা কার্যকর হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীই আচার্য পদে বসবেন। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এই ইস্যুতে মুখ খুললেন জগদীপ ধনখড়।
এই বিল সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁরা এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ধনখড়। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস সহ একাধিক ইস্যুতে কার্যত রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলেও মন্তব্য করেন ধনখড়।
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নেন। রাজ্যপাল বলেন, নিয়োগ নিয়ে এত বড় দুর্নীতি আমি দেখিনি। তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও লোকে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। আর এই দুর্নীতির জন্যেই যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে বলেও এদিব মন্তব্য করেন ধনখড়। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার মতো অভিযোগও এদিন তোলা হয়েছে। রাজ্যপালের স্পষ্ট বার্তা, আমার শপথবাক্য আমি ভুলিনি।
অন্যদিকে গণতন্ত্র ইস্যুতে রাজ্যপাল বলেন, আমি রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি। কয়লা মাফিয়া থেকে গরু পাচারকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনকে বারবার বলেছি। এদের বিরুদ্ধে আমি বারবার সরব হয়েছি। কিন্তু প্রশাসন নিজেদের মতো করে চলছে। এটা কি গণতন্ত্র? এখানে মানুষ মুখ খোলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে? তোপ ধনখড়ের। তবে কিভাবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হয় তা আমি জানি...বলেও মন্তব্য তাঁর। কিভাবে সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য গণতান্ত্রিক পথে চলে তা দেখব বলেও দাবি রাজ্যপালের।
অন্যদিকে আচার্য বিল নিয়ে জগদীপ ধনখড় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আচার্য বিল সংক্রান্ত বিষয়টি আমি প্রথমে খতিয়ে দেখব। দেখব কোথাও সংবিধান কে উপেক্ষা করে এই ধরনের বিল আনা হয়েছে কিনা। আমাদের সংবিধান খুব শক্তিশালী। সেই সংবিধান কে উপেক্ষা করে যদি বিল আনা হয় তাহলে আমি গ্রহণ করবো না। তবে এক্ষেত্রে কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হবে না বলেও এদিন জানিয়েছেন ধনখড়।
তবে আচার্য বিল নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত নতুন করে বাড়তে চলেছে তা কার্যত একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।
মানিক ভট্টাচার্য সহ গোটা পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চাইল হাইকোর্ট