মমতার থেকেও মোদীর প্রকল্পের গুরুত্ব বেশি, রাজ্যপালের ব্যাখ্যায় খাটো বাংলার স্বীকৃতি
ফের বিতর্কিত মন্তব্যে রাজ্যকে ছোটো করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের থেকে কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি।
ফের বিতর্কিত মন্তব্যে রাজ্যকে ছোটো করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের থেকে কেন্দ্রের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি। 'কন্যাশ্রী'র বিশ্ব-স্বীকৃতির পর রাজ্যেপালের এই ধরনের বিবৃতিতে ফের বিতর্কের ঝড় উঠেছে। শুক্রবার রাজারহাটে রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: আরএসএস পরিচালিত স্কুল বন্ধের ফরমান রদ, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য]
রাজ্যপাল বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্প 'কন্যাশ্রী'র থেকে অনেক বড় প্রকল্প। তার গুরুত্বও অনেক বেশি। অনেক বড় উদ্দেশ্য রয়েছে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পের। তাঁর ব্যাখ্যায়, মেয়েকে বাঁচাও ও তাঁকে পড়াশোনা করে বড় করো তোলা। সমাজে যোগদান ও দেশের জন্য তৈরি করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও এক বিধায়ক, পঞ্চায়েতের আগে বিরোধী শিবিরে জোর ধাক্কা ]
পরোক্ষে 'কন্যাশ্রী' হল সীমিত অর্থ সাহায্যকারী প্রকল্প। একজন ছাত্রীকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এই প্রকল্প সহায়তা করবে। দুই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভিন্ন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পের কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, 'আমাদের 'কন্যাশ্রী' বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে। এবাক আমরা 'কন্যাশ্রী'তে অনুদান আরও বৃদ্ধি করেছি। আর 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পে অনুদান কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। রাজ্যপাল সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের থেকে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পকে অনেক এগিয়ে রাখলেন। ৬২টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে আনার পর রাজ্যপালের এই সমালোচনা ভালোভাবে নিচ্ছে না রাজ্য সরকার।