মমতার তোষণের রাজনীতিতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, বিদায়বেলায় বিস্ফোরক রাজ্যপাল
মমতার তোষণের রাজনীতির জন্যই বিনষ্ট হচ্ছে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। বিদায় বেলায় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
মমতার তোষণের রাজনীতির জন্যই বিনষ্ট হচ্ছে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। বিদায় বেলায় পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। একইসঙ্গে তিনি জানালেন বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি প্রয়োজন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত আবেগ সংবরণ করে এগিয়ে চলা।
তিনি আর পরামর্শ দেন, তোষণ রাজনীতি ভুলে সবাইকে সমান চোখে দেখা উচিত। এদিন মমতার দূরদৃষ্টতা নিয়ে প্রশংসা যেমন করেছেন, তেমনই তাঁর বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়েও সরব হয়েছে। বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈষম্যমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্যেই। সেই বৈষম্যমূলক আচরণ বর্জন করা উচিত। বর্জন করা উচিত আবেগ।
রাজ্যেপালের এহেন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল মেয়াদ থাকার সময় বলেননি এইসব কথা। এখন বিদায় বেলায় বলছেন। আসলে এসব কেন্দ্রের কাছে পয়েন্ট বাড়ানোর চেষ্টা। তিনি এই তোষণের কথা বলে নিজেও তোষণ করে গেলেন কেন্দ্রের সরকারের।
পার্থ বলেন, আগে হয়তো কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল, তা বলা যায় না। কেন তিনি যাওয়ার সময় এমন মন্তব্য করে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। এই কথা বিতর্ক সৃষ্টি করবে। রাজ্যপালের আসন গরিমালিপ্ত করবে না। তিনি আবার প্রমাণ করে দিলেন রাজভবনটা বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে।