প্রকাশ্যে সিন্ডিকেট রাজ, পুলিশি সন্ত্রাস! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের মমতাকে নিশানা ধনখড়ের
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে অবাধে সিন্ডিকেট রাজ ও পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার করা টুইটে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( mamata banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar) । রাজ্যে অবাধে সিন্ডিকেট রাজ ও পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার করা টুইটে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রধান উপদেষ্টার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
পরিবর্তন আসছে, বললেন তৃণমূলের প্রভাবশালী মন্ত্রী! অনুব্রতকে নিশানায় বাড়ল জল্পনা
আলোচনাই যথেষ্ট নয়
টুইটে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ১১ অক্টোবর টেলিফোনে আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি গণতান্ত্রিক সরকার চলেছে, সেটা দাবি করার এটা ভাল সময় ছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলুন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ক্ষমতার করিডোরকে স্যানিটাইজ করুন।
রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক হিংসা
অপর
একটি
টুইটে
রাজ্যে
মানবাধিকার
লঙ্ঘন
এবং
রাজনৈতিক
হিংসারও
অভিযোগ
তুলেছেন
আবারও।
দিন
কয়েক
ধরেই
তিনি
এই
অভিযোগ
তুলছেন।
এর
পাশাপাশি
রাজ্যে
সিন্ডিকেট
ও
পুলিশি
সন্ত্রাস,
দুর্নীতির
অভিযোগ
তুলেছেন।
এছাড়াও
ক্ষমতার
করিডরগুলিতে
অনুমোদন
ছাড়াই
আক্রমণ
চালানোর
অভিযোগও
তিনি
তুলেছেন।
ফলে
রাজ্যে
গণতন্ত্রের
বিরোধিতা
এবং
আইনেশ
শাসন
নিয়ে
প্রশ্ন
উঠছে।
স্ক্যামস্টার,
পাওয়ার
ব্রোকাররা
ক্ষমতার
অনিন্দে
ঘোরাফেরা
করছে
বলেও
সতর্ক
করেছেন
রাজ্যপাল।
আইন সবার ওপরে
১১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সেটি বরফ শৈলের চূড়া মাত্র। কখনই উঁচুতে থাকা মনে করা ভাল নয়, কেননা আইন সবার ওপরে।
রাজ্যপালের টুইটকে ঘিরে বিতর্ক
একটি সরকারি নির্দেশ নামা নিয়ে রাজ্যপালের বৃহস্পতিবারের টুইটকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সরকারি নির্দেশ নামাটি ২০১৯ সালের হলেও, সেটি রাজ্যপালকে পাঠিয়েছিলেন জনৈক আরএসএস সুধীর। রাজ্যপালের টুইটার পোস্টে তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালকে কড়া আক্রমণ করেন। রাজ্যপালকে যে বাইরে থেকে চালনা করা হচ্ছে এটাই তার প্রমাণ। কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের সেই রাজ্যের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া উচিত নয়, মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সরব রাজ্যপাল
রাজ্যপালকে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। তার বেশিরভাগই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত। সেই তালিকায় যেমন বেলেঘাটা ক্লাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণ রয়েছে, মণীশ শুক্লার হত্যার ঘটনাও রয়েছে। টুইটে নবান্ন অভিযান থেকে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী যাতে বিচার পান তারও উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যপাল।