আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ! 'আরএসএস' 'নির্দেশ' টুইট করে ট্রোলড ধনখড়
শুধুমাত্র একটি সরকারি আদেশ টুইট (twitter) । আর তাতেই ট্রোলড রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। আর হবেন নাই বা কেন, টুইটে দেখা যাচ্ছে সেই সরকারি আদেশ নামাটি তাঁকে পাঠিয়েছেন আরএসএস সুধীর (rss sudhir)। নজরে পড়তেই তা অবশ্য মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা( trinamool congress) ।

রাজ্যপালের টুইট ঘিরে বিতর্ক
একটি সরকারি নির্দেশ নামা নিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই নির্দেশ নামাটি ২০১৯ সালে। যেখানে রীনা মিত্রকে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসর করা হয়েছে। এপর্যন্ত ঠিক ছিল সবই। কেননা রাজ্যপাল প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে থাকেন। কিন্তু রাজ্যপাল যে নির্দেশ নামা দিয়ে টুইট করেছিলেন সেখানে জনৈক আরএসএস সুধীর তাঁকে পাঠিয়েছেন।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব রাজ্যপাল
টুইটে রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আল কায়েদাও পশ্চিমবঙ্গকে তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। অবৈধ বোমাও তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে তিনি আরও বলেন, এই সব হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সুরজিত কর পুরকায়স্থকে রাজ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রীনা মিত্রকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসর করার পরেও। তাঁরা কী ধরনের কাজ করেন, কোন কোন আধিকারিক তাঁদের কাছে রিপোর্ট করেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।

তৃণমূলের নিশানায় রাজ্যপাল
এরপরেই তৃণমূল নিশানা করে রাজ্যপালকে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং লোকসভার সদস্য কাকলী ঘোষ দস্তিদার রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দেশের কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের কখনই উচিত নয়, রাজ্যের স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া। তিনি বিজেপির নির্দেশ মেনে চলছে। আর তাঁকে সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছে আরএসএস।

রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত
২০১৯-এর রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত জগদীপ ধনখড়ে। শুরুটা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারেবারে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল আর রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনাই হোক কিংবা বেলেঘাটার ক্লাবে বোমা বিস্ফোরণ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। একটা সময়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার অনুমতি না দেওয়ায় সেই বৈঠক হয়নি।
