তৃণমূলকে ছেড়ে প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা, রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে নয়া মোড়
তৃণমূলকে ছেড়ে প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা, রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব নিল নয়া মোড়
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে বাকযুদ্ধ সোমবার নতুন মোড় নিল। তৃণমূল কংগ্রেসকে ছেড়ে এবার ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর আই প্যাক টিমকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল। পিকের আই-প্যাককে নিশানা করে ধনখড় অভিযোগ করেন, তৃণমূল সাংসদদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি নিয়ন্ত্রণ করছে পিকের আই-প্যাক।
প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক টিমেকে নিশানা রাজ্যপালের
রাজ্যপালের কথায়, তৃণমূলের সাংসদরা বা নেতারা নন, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি পরিচালিত হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক টিমের দ্বারা। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ওই ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করছেন না বলেই তাঁর বিশ্বাস। সম্প্রতি গড়িয়া শ্মশানে লাশ টেনে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে তৃণমূল ও রাজ্যপালের।
গড়িয়া শ্মশান-কাণ্ডে রাজ্যপালের নিশানা পিকে
গড়িয়া থানা এলাকার বোড়ালে মরদেহ টেনে টেনে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের সূত্রপাত। কেএমসি লাশ নিয়ে যেতে বাধ্য করে কর্মীদের, এমন অভিযোগ সামনে আসে। রাজ্যপাল এই ঘটনায় সরব হতেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা পাল্টা নিশানা করতে শুরু করেন।
শ্মশানকাণ্ডের বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক : রাজ্যপাল
ধনখড় এই বর্বরতাকে মানবতার কলঙ্ক বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি অবিলম্বে কলকাতা কর্পোরেশনের কমিশনারকে তলব করেছিলেন। দু'দিন পরে রাজ্যপালের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাত করেন তিনি। তিনি জানান, মৃতদেহগুলি কয়েকদিন মর্গে স্তুপীকৃত ছিল। স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ওই বেওয়ারিশ লাশের অন্ত্যেষ্টির দায়িত্ব ছিল।
‘বন্ধু’ ত্রিবেদীর শব্দবন্ধে বিচলিত রাজ্যপাল
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র সদস্যরা ভিডিওগুলিকে ‘ভুয়া' বলে অভিহিত করেন। রাজ্যপালকে একহাত নেন। বিশেষ করে তৃণমূলের তিন সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, দীনেশ ত্রিবেদী এবং ডেরেক ও'ব্রায়ানের পোস্ট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী তাঁর বিরুদ্ধে যে শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, তা নিয়ে বিচলিত ছিলেন রাজ্যপাল।
সাংসদরা নন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ পিকের টিম!
ধনখড় যাঁকে ব্যক্তিগত বন্ধু বলে অভিহিত করেছিলেন, তাঁর আক্রমণাত্মক পোস্ট দেখে এবং মন্তব্যে কম্প্রোমাইজড শব্দবন্ধ নিয়ে তিনি বিচলিত হন। তিনি পক্ষপাত করছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। এরপর ধনখড় স্পষ্ট করেই বলেন, তৃণমূল সাংসদরা এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন না। প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক টিমের দিকেই তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন।
আই-প্যাকের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের অভিযোগ নস্যাৎ
ধনখড়ের অভিযোগ, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাই এসবের মূলে। সম্প্রতি, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা তৃণমূলের সমস্ত সংসদ সদস্য এবং বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষত ফেসবুক এবং টুইটার পরিচালনা করছে। এই সংস্থা অতি সক্রিয় হয়ে তৃণমূল বিরোধী সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করছেন। বিতর্কিত শব্দ বন্ধে ওই সংস্থা সংকট তৈরি করছে। আই-প্যাকের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তারা জানিয়েছে, আমাদের কাজ পার্টিকে পরামর্শ দেওয়া।
মুকুল বসে আছেন বঁড়শি হাতে, মমতার মন্তব্য বুমেরাং হতে পারে 'প্রেস্টিজ ফাইট’-এ