প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস বৈঠক বয়কট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইঙ্গিত ছিল আগেই, 'প্রমাণ' দিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল ধনখড়
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর (narendra modi) ইয়াস বৈঠক নিয়ে বিতর্কের জেরে এক্সটেনশনে না গিয়ে নির্ধারিত দিনে অবসর নিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বিতর্ক যে মেটার নয় তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। গভীর রাত
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর (narendra modi) ইয়াস বৈঠক নিয়ে বিতর্কের জেরে এক্সটেনশনে না গিয়ে নির্ধারিত দিনে অবসর নিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বিতর্ক যে মেটার নয় তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। গভীর রাতে টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar) দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কটের ব্যাপারে তাঁকে আগেই ইঙ্গিত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)।
ঘটনার ভুল বর্ণনা দেওয়ার অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, আগে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁর কর্মসূচি ঠিক করা ছিল। সেই কারণে তিনি শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস নিয়ে বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি। যদিও এব্যাপারে রাজ্যপালের দাবি, ঘটনার ভুল বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে ২৭ মে রাত ১১ টা ১৬-তে একটি বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর (রাজ্যপাল) সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা, কেননা খুব জরুরি।
বৈঠক বয়কটের ইঙ্গিত
রাজ্যপাল জানিয়েছেন সম্মতি মেলায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছুক্ষণ পরেই ফোন করেন। সেখানে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ইঙ্গিত করেছিলেন, বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ও তাঁর আধিকারিকরা ইয়াস নিয়ে বৈঠক বয়কট করবেন। টুইটের শেষে রাজ্যপাল লেখেন, অহংকার জিতল আর প্রভাব পড়ল নাগরিক পরিষেবার ওপরে।
মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের উদ্দেশে বার্তা
অপর একটি টুইটে রাজ্যপাল বলেছেন, দেশের কোঅপারেটিভ ফেডারেলিজমের দীর্ঘ ইতিহাসে ২৮ মে একটা কালো দিন হিসেবে লেখা থাকবে। কেননা প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাজ্যপাল বলেছেন, সমস্ত রকমের রীতিনীতি ছিন্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শুভেন্দু উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির এক স্থানীয় বিধায়ককে বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও লিখেছিলেন, গত ৪০ বছরে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এই ধরনের কোনও উপস্থিতি ছিল না। ওই বৈঠকে স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতি তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না বলেই চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রাজ্যপালের উপস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আপত্তি ছিল না। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা বৈঠকের জন্য তাঁর আধিকারিকরা যে চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।