শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে ক্ষতে ব্যান্ডেজ! সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মমতার শুভবুদ্ধির ওপর ভরসা রাজ্যপালের
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিস, আপাতত তাতে ইতি পড়েছে। এদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তারপর তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী শুভবুদ্ধির ওপর ভরসা রাখছেন তিনি।

সহ উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক
রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে সহ উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। সোমবার রাজ্যপাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপচার্য( প্রশাসনিক ও শিক্ষা) পদে অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগ করেন। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল যেমন কোনও আলোচনা করেননি, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারও এই নাম রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেনি।
রাজ্যপাল অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যে কাজ করেছেন, তা আইন মেনেই করা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৯ নম্বর ধারার একনম্বর উপধারার আইন মেনে তিনি অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে সহ উপচার্য( প্রশাসনিক ও শিক্ষা) পদে নিয়োগ করেছেন।
রাজ্যপালের করা নিয়োগের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধিকে সহ উপচার্য( প্রশাসনিক ও শিক্ষা) পদে নিয়োগ করেছেন। সরকার এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
পরে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, রাজ্যপালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আশিস কুমার পানিগ্রাহীকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য(প্রশাসনিক ও শিক্ষা) পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা
এদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত কয়েকদিনে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর সেই ক্ষতে ব্যান্ডেজ বেধেছেন তিনি। এনিয়ে কোনও বিতর্ক আর মাথা চাড়া দেবে না বলেও মনে করেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী শুভবুদ্ধির ওপর ভরসা রাখছেন। তাঁর আশা এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী পরিবহণ নিয়েও কথা
এদিন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন রাস্তায় যাতে পরিবহণ ঠিকঠাক থাকে সে ব্যাপারে তিনি নজর দিতে বলেছেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পছন্দ রাজ্যপালের
আগে যতই বিরোধিতা তৈরি হোক না কেন, এদিন রাজ্যপাল বলেন, তিনি এই সরকারের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে খুবই পছন্দ করেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই কথা হয়। অনেক ক্ষেত্রই তাঁরা সহমত পোষণ করেন। রাজ্যপাল এদিন বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বন্ধু।

খুব শীঘ্রই অটো-ট্যাক্সিতে তোলা যাবে ৪ জন যাত্রী, নামছে বেসরকারি বাসও