রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্বপালন করছেন না মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে চিঠি দিয়ে অনুযোগ জগদীপ ধনখড়ের
রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্বপালন করছেন না মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে চিঠি দিয়ে অনুযোগ জগদীপ ধনখড়ের
ফের সুর চড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালনে অনিহার অভিযোগ করেছেন তিনি। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক জবাব তলব করেও কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। তাঁর এই নিরবতাই রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালনের অনিহা প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জগদীপ ধনখড়।
মমতাকে চিঠি রাজ্যপালের
বৃহস্পতিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক অভিযোগ করে িচঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্বপালনে অনিহার অভিযোগ করেছেন তিনি। সংবিধানের ১৬৪ অনুচ্ছেদ অয়ুযায়ী রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালনে অনিহা দেখিয়েছেন তিনি। একাধিকবার পুরসভার প্রশাসক নিয়োগের পদ্ধতি জানতে চাওয়া হলেও কোনও তথ্য দেননি মুখ্যমন্ত্রী। নিরব থেকেছেন। তা রাজ্যপালের প্রতি সাংবাধানিক নিয়মের পরিপন্থী।
প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে বিরোধ
কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষের পর প্রশাসক নিয়োগ করা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে নতুন করে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল রাজ্য সরকারের। রাজ্যপালকে প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল তাতে রাজি হয়নি। তারপরেই অপৎকালীন আইনের সাহায্য িনয়ে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক পদে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসক নিয়োগ কেন চিঠি রাজ্যপালের
ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগের পরেই রাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন কোন আইন প্রয়োগ করে পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলী বসানো হয়েছে। কিন্তু তার জবাবে কোনও চিঠি মুখ্যসচিব বা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দেওয়া হয়নি। তারপরেই রাজ্যপালের এই চিঠি বলে জানানো হয়েছে।
আদালতের অনুমোদন
ইতিমধ্যেই এই প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তাতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তৈরি করা প্রশাসক বোর্ডকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাতেই আদালতের এই রায় বলে মনে করা হচ্ছে।
নাবার্ডের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটির তহবিল ঘোষণা অর্থ মন্ত্রীর