সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য বাংলায় কি নৈরাজ্য চলছে না! মমতাকে প্রশ্নবাণ ছুড়লেন রাজ্যপাল
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা থেকে শুরু করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি। সেইসঙ্গে মমতাকে নিশানায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাজ্যপাল, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবিধানিক দায়িত্ব মনে করাতে চাই।

সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য বাংলা
সোমবার রাজভবনে দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বাংলা। পুলিশ নিজের ভূমিকা পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিণতি উদ্বেগজনক বর্তমানে। তার থেকেও বড় কথা, ক্ষমতার অলিন্দে অনুপ্রবেশ ঘটেছে হার্মাদদের।

পুলিশের ডিজি দায়িত্বজ্ঞানহীন
রাজ্যপাল সরাসরি তাক করেছেন রাজ্য পুলি্শের ডিজিকে। তিনি বলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজির আচরণ ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি যে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ হতে পারেন তা না দেখলে বিশ্বাস হত না। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ পুরোপরি শাসক দলের অনুগত।

রাজ্যে পুলিশরাজ চলছে
রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজ্যে পুলিশরাজ চলছে। ইলেকট্রনিক নজরদারি বাড়ছে সর্বত্র। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দরজায় কড়া নাড়ছে। এটা গণতন্ত্রের পরিচায়ক নয়। গণতন্ত্র ও পুলিশরাজ কখনই একসঙ্গে চলতে পারে না। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ডিজি-সহ পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করে সেটাই করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বাংলায় কি নৈরাজ্য চলছে না!
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কথার কোনও জবাব দেন না। রাজ্যপাল প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী হিসেব শপথ নেওয়ার সময় কী বলেছিলেন মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। বলেন রাজ্যপালের ভূমিকা কী, বলা আছে সংবিধানে। এরপর প্রশ্ন ছোঁড়েন, বাংলায় কি নৈরাজ্য চলছে না!

তথ্য চাপতেই উপেক্ষা রাজ্যপালকে
রাজ্যপালের অভিযোগ, বাণিজ্য সম্মেলন, গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যা পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী কোনও তথ্য দিতে চান না। এটা একপ্রকারের উপেক্ষা। আসলে তথ্য চাপতেই এই উপেক্ষা করা হচ্ছে। এটাই সবথেকে বড় প্রমাণ বাংলায় তৈরি হওয়া নৈরাজ্যের। মনে রাখা উচিত, ভারতীয় সংবিধানে কেউ সর্বশক্তিমান নয়।

রাজ কাপুর, দিলীপ কুমারদের পৈতৃক ভিটে নিয়ে কী করতে চলেছে ইমরান সরকার, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য