মমতার পক্ষই নিলেন রাজ্যপাল! বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের প্রস্তুতিই সার
মমতার পক্ষই নিলেন রাজ্যপাল! বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের প্রস্তুতিই সার
শাসকদলের নেতারা প্রস্তুতই ছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল হঠাৎ করেই অবস্থান বদল করায় মাঠে মারা গেল তৃণমূলের যাবতীয় প্রস্ততি। রাজ্যপাল বাজেট অধিবেশনের ভাষণে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করলেন না। করলেই আসনে বসেই প্রতিবাদে সামিল হতেন শাসক দলের বিধায়করা। তার আর প্রয়োজন হল না বাংলার বাজেট অধিবেশনে।
রাজ্যের তৈরি করে দেওয়া বক্তৃতাই পাঠ রাজ্যপালের
তৃণমূল বিধায়করা রাজ্যপালের বিরোধিতায় প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন। নে এনআরসি, নো সিএএ লেখা ব্যান্ড ও সংবিধান হাতে প্রস্তুত ছিলেন বিধায়করা। কিন্তু সেইসব অস্ত্রের কিছুই প্রয়োজন হল না। রাজ্যের তৈরি করে দেওয়া ১৬ পাতার বক্তৃতাই পাঠ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফলে বিতর্কের কোনও অবকাশই রইল না
কেরল হল না বাংলার বিধানসভা
কেরলে যা হয়েছিল, বাংলায় তা হল না। মমতার ক্যারিশ্মায় সব বিতর্কের অবসান হল মুহূর্ত। বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তব্য শুরুর আগে মমতার সঙ্গে বৈঠকেই সব বিতর্কের অবসান ঘটল। তবে আগাম সব বন্দোবস্তও রাখা হয়েছিল। তৃণমূল বিধায়কদের বলা হয়েছিল শালীনতার সীমা যেন তারা না ছাড়ায়।
শালীনতার সীমা রেখে বিরোধিতায় প্রস্তুত ছিল তৃণমূল
তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, প্রতিবাদ হোক, কিন্তু শালীনতার সীমা রেখে। তাই ওয়েলে নামতে বারণ করা হয়েছিল তাঁদের। তাঁরা আসনে বসেই প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা রেখেছিলেন। তৃণমূলে্র পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকেই তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে রাজ্যপালের সন্তোষজনক বক্তব্য
স্বাস্থ্যসাথী থেকে খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী থেকে সবুজ সাথী বা সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ নিয়ে হুবহু রাজ্য সরকারের লেখা বক্তব্য পড়লেন রাজ্যপাল। কোনও বিতর্কই হল না। রাজ্যপাল হুবহু পড়লেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনকই রয়েছে। এমনকী সিএএ বিরোধিতা রাজ্য সরকারের যে অবস্থান ভাষণে সেটাই পাঠ করলেন রাজ্যপাল। সেখানে পরিষ্কার লেখা কেন্দ্রের অবস্থানের বিরোধিতা করছে রাজ্য সরকার।