বাবুলের শপথ-জট কাটল না, রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে আবেদনের পরই পেলেন পাল্টা জবাবও

বাবুল সুপ্রিয় বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ এখনও বিশ বাঁও জলে। রাজ্যপালকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিলেও জট খোলার লক্ষণ নেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বাবুলের চিঠির, তাতেই জট কাটার কোনও আশা নেই। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েও দু-সপ্তাহ ধরে শপথ নিতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শনিবার বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। আর শপথ নেওয়ার ভার দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার নতুন করে তৈরি হয় জট। বাবুলও দুঃখপ্রকাশ করেন এবং ডেপুটি স্পিকারও জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে চিঠি এলে তিনি রাজ্যপালের সম্মান রেখেই অস্বীকার করবেন এই দায়িত্ব নিতে।
বাবুল সুপ্রিয় এদিন তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন রাজ্যপালকে। তিনি লেখেন- বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র্র মানুষদের জন্য বলছি, যাঁরা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর গত কয়েকমাস ধরে বিধায়কহীন। আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, দয়া করে আপনার সিদ্ধান্ত বদলান এবং মহামান্য স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দিন। যাতে দ্রুত বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারি, তার ব্যবস্থা করুন।
পাল্টা এর জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন ভারতের সংবিধান মোতাবেক আমার ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন না করেই আমি ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তাঁর কাছ থেকেই ১৬১ নম্বর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয় শপথগ্রহণ করবেন। ধনখড় একপ্রকার বুঝিয়েই দেন তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি অনড়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে তিনি ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েই শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এর ফলে বাবুলের শপথ নিয়ে জটিলতা এখনও যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই রয়ে গেল।
এর আগে শুক্রবার টুইট করে তাঁর শপথ বাক্য পাঠ আটকে থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ১৬ এপ্রিল তিনি ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর দ-সপ্তাহ অতিক্রান্ত, বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিতে পারেননি। শনিবার তাঁর শপথ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করলেন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে জুড়ে দিলেন নতুন বিতর্ক। এখন সেই বিতর্ককে কেন্দ্র করে টুইট-যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
শনিবার রাজভবন বাবুলের শপথের অনুমতি দেওয়ার পর পাল্টা টুইট করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। একইসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন, স্পিকারের কাছে শপথ নিতে পারছি না, তার জন্য খারাপ লাগছে। আগামী সপ্তাহেই হবে বাবুলের শপথগ্রহণ। মঙ্গল ও বুধবার ইদের ছুটি রয়েছে। তারপরেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাবুলের আর্জি ও ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব না নেওয়ার বার্তায় ফের জটিলতা তীব্র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের।