রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকেও আপোশ করতে হয়, ধনকরের খোঁচা মমতা সরকারকে
মহা চমক দিয়ে রাতারাতি মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সরকার মাত্র স্থায়ী হয়েছে তিন দিন। আস্থা ভোটের আগেই রণেভঙ্গ দিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ফের বিঁধলেন রাজ্যপাল। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যের মাঝেই খোঁচা দিতে ছাড়লেন না মমতার সরকারকে। তিনি বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে সর্বদা আপস করে চলতে হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, আমি সকলের নিকট মৌলিক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য আবেদন করছি।
তিনি এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার বিষয়েও কথা বলেন। এই ৩৭০ ধারা রদ সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারাকে ধ্বংস করবে। সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ করতে এই ৩৭০ ধারা বাতিল করা জরুরি ছিল। রাজ্যপালের এই কথার প্রেক্ষিতে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন যে, রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছিলেন কাশ্মীর নিয়ে। আমাদের গভর্নর খুব ভাল কথা বলেছেন, তবে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে এটি কাশ্মীর নয়, এটি বাংলা। কিন্তু তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছেন।
মমতা আরও বলেন, আমার সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও লড়াই নেই। গভর্নর একটি সাংবিধানিক পদ। আমি কখনও কোনও রাজ্যপালের সাথে যুদ্ধ করিনি। তিনি কেন এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন তা আমি জানি না। আমরা জানি তিনি কার নির্দেশে এইসব করছেন। আমরা জানি তাকে কে পাঠিয়েছে এবং তার কাজ কী।
বাংলার গভর্নর জগদীপ ধনকর বলেন, আমাকে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবুও আমি সংবিধান দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। আমার পথে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন আমি সংবিধানকে সমর্থন করি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদে থেকে অনেক কিছু আপোশ করি।