সরকার সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না! পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে বিস্ফোরক রাজ্যপাল
সরকার সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না! পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে বিস্ফোরক রাজ্যপাল
প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( mamata banerjee) নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। রবিবার করা টুইটে পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মী মদন ঘড়াইয়ের মৃত্যু নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল। পুলিশি হেফাজতে মদন ঘড়াইয়ের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।
হেফাজতে মৃত্যুর অমানবিক উদাহরণ
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হেফাজতে মদন ঘড়াইয়ের মৃ্ত্যু অত্যাচার, লাঞ্চনার ভয়াবহ ঘটনা বলে উল্লেখ করে এদিন টুইট করেছেন রাজ্যপাল। বিষয়টিকে অমানবিক বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সরকার সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না
সংবিধান অনুযায়ী, সরকার পরিচালনার কথা বলে রাজ্যপাল বলেছেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত করা হচ্ছে না। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য পুলিশের কাজ নিয়ে প্রশ্ন
রাজ্যপাল টুইটে অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা যেন পুলিশের ওপরে কর্তৃত্ব না করেন। কলকাতা ও রাজ্যপুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের আইএএস, আইপিএস আধিকারিকরা যাতে রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করেন, তার জন্যও অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।
পটাশপুরে পুলিশের হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু
অভিযুক্ত যুবককে না পেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এলাকার বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত মদন ঘড়াইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পটাশপুর থানার পুলিশ। পরে তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হলে সেখানেই মৃত্যু হয়। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। গত মঙ্গলবার এসএসকেএম-এ মদন ঘড়াইয়ের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশের দাবি হেফাজতে মারধর করা হয়নি মদন ঘড়াইকে।
দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত
এই মামলায় আগেই হাইকোর্টে গিয়েছেল বিজেপি। শুক্রবার হাইকোর্টের তরফে মদন ঘড়াইয়ের দেহের দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিনই প্রথমবার এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে পরের ময়নাতদন্ত করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। এব্যাপারে ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক হিংসা
এর আগে তিনি রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। সরব হয়েছিলেন বেলেঘাটর ক্লাবে বিস্ফোরণ নিয়েও।
'হ্যাঁ, আমিই জোট ছেড়ে বেরিয়েছি', অমিত শাহের মন্তব্যের পর চিরাগের মাপা পদক্ষেপে বার্তা