ভঙ্গ হয়েছে প্রোটোকল! রাজ্য প্রশাসনে রাজনীতিকরণের অভিযোগে ফের সরব রাজ্যপাল ধনখড়
ভঙ্গ হয়েছে প্রোটোকল! প্রশাসনের রাজনীতিকরণ নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল
ফের রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন তিনি গিয়েছিলেন কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে। সেখান থেকে যান কোচবিহার রাজবাড়িতে। তাঁর অভিযোগ প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্য জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)।
সকালে গিয়েছিলেন মদনমোহন মন্দিরে
রাজ্যপাল এদিন সকালে গিয়েছিলেন কোচবিহারের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে সস্ত্রীক পুজোও দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এই সফরের কথা আগেই টুইট করে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এদিন সকালে তিনি কোচবিহারে গিয়ে প্রথমেই মালা দেন পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে। মদনমোহন মন্দির, কোচবিহারের রাজবাড়ি ঘুরে দেখার পর তিনি সার্কিট হাউজে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। কোচবিহারকে পর্যটন মানচিত্রে কীভাবে আরও সামনের সারিতে আনা যায়, তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।
দেওয়া হয়নি গার্ড অফ অনার
নিয়ম অনুযায়ী গার্ড অফ অনার দেওয়ার কথা রাজ্য প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তা করা হয়নি। যা নিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। টুইটে রাজ্যপাল বলেছেন, কোচবিহার প্রশাসন প্রোটোকল ভঙ্গ করেছেন। সেখানে যেমন গার্ড অফ অনার ছিল না, ঠিক তেমনই জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারও অনুপস্থিত ছিলেন। যা প্রশাসনের রাজনীতিকরণের নামান্তর বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যে মানবাধিকার নিয়ে রাজ্যপাল
এদিন তিনি রাজ্যের মানবাধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি বলেছেন রাজ্যে মানবাধিকার কমিশন নিষ্ক্রিয়। এর আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের রোগী।
ডিজিপিকে দেওয়া চিঠির উল্লেখ
এদিন রাজ্যপাল জানান, পাঁচ সেপ্টেম্বর তিনি রাজ্যের ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ডিজিপি জানিয়েছিলেন রাজ্যে শান্তি বিরাজ করছে। এদিন রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন রাজ্যে কি আদৌ গণতন্ত্র আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লেখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা
রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে এদিনও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক হিংসার কথা বলতে গিয়ে জয়গাঁয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির ওপর হামলার কথাও উল্লেখ করেছেন।
প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ
রাজ্য প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগও এদিন করেছেন রাজ্যপাল। এর আগেও রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন শাসকদলের হার্মাদদের দিয়ে বিরোধীদের ওপর জুলুমবাজি করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন রাজ্যপাল।
'হাতে হাত ধরে এবারে আর ফ্যামিলি ফটো তোলা হল না', বলে শুরু করে আসিয়ানে মোদী দিলেন কোন বার্তা