সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে আইনের শাসন মানুন! সংবিধান দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের
সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে আইনের শাসন মানুন! সংবিধান দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jadgeep dhankhar)। এদিন সকালে টুইট করে রাজ্যপাল টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধান মেনে চলার পরামর্শ দিলেন। এছাড়া সরকারি কর্মীদেরও নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা
বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ির সভা থেকে নাম না করে রাজ্যপাল ধনখড়কেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিছু মানুষের কোনও কাজ নেই সকাল থেকে শুধু টুইট করে যান।
সংবিধান দিবসে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান
এদিন ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষেই দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সংবিধান মেনে চলা জরুরি। তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আইনের শাসন, মানুষের মূল্যবোধ এবং মানুষের অধিকার রক্ষা করতে হবে। সরকারি কর্মীদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তে সংবিধানকে অনুসরণ করতে হবে।
সংবিধান দিবসে শুভেচ্ছা
সংবিধান দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, এটা এমন একটা দিন, যা ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনার, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্যতা এবং ভ্রাতৃত্বের আদর্শগুলিতে স্মরণ করিয়ে দেয়। একই সঙ্গে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, এই দিনে জাতির অগ্রগতির জন্য মৌলিক কর্তব্য পালনের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করি।
গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল
দিন কয়েক আগে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন গণতন্ত্রকে বাঁচাতে দুর্নীতি খুঁজে বের করতে হবে। দুর্নীতির কিংপিনদের পালানোর সময়ে আইনের মুখোমুখি হওয়ার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রাজ্যপাল আরও বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজরা যদি সৎ লোকেদের পালাতে বাধ্য করে তাহলে তা ন্যায়বিচারের পক্ষে বিপজ্জনক হবে। তা গণতন্ত্রের মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সরকারি কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্ত, পুলিশ ও প্রশাসনে রাজনীতি করণ
টুইটে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। অবিশ্বাস্যভাবে সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগও তিনি করেছিলেন। নদিয়ার তেহট্টে সেনা জওয়ানের শেষকৃত্যে বিজেপি সাংসদকে বাধা দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের রাজনীতি করণের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল
অগাস্ট মাসে নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উত্তর পাননি তিনি। এব্যাপারে টুইটারে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। আয়ুষ্মাণ ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনায় রাজ্যে অংশ গ্রহণ না করা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ রাজ্যের কৃষক এবং সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত।
বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল তারাতলা, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পাল্টা লাঠিচার্জ, ধুন্ধুমার