রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে সরব রাজ্যপাল! প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধনখড়ের
এবার রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। যা নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে( mamata banerjee) চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠি তিনি এদিন সকালে টুইট
এবার রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। যা নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে( mamata banerjee) চিঠি লিখেছিলেনন। যার উত্তর না পাওয়ার অভিযোগে চিঠি তিনি এদিন সকালে টুইটারেও দেন। এছাড়াও সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তাঁর ভূমিকা প্রশাসন যে ভাবে দেখছে, তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।
|
রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ রাজ্যপালের
রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে তিনি অগাস্ট মাসের অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছিলেন মুখ্যসচিব যে তথ্য পেয়েছেন, তা তাঁকেও পাঠানো হয়েছে। সেই অগাস্টেই রাজ্যে ২২৩ টি ধর্ষণ এবং ৬৩৯ টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। যা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, বর্ধমান, মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, প্রেসিডেন্স এবং মালদহের কমিশনারদের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ
টুইটে রাজ্যপাল এইসব অভিযোগের প্রতিকারে প্রশাসন উদাসীন বলেও কটাক্ষ করেছেন। এব্যাপারে মুখ্যসচিবকে রাজভবনের তরফে আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হলেও, তার কোনও জবাব আসেনি বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) যেন, সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পুলিশ প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ
টুইটে রাজ্যপাল পুলিশ ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ করেছেন। যা গণতন্ত্রের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি আরও বলেছেন প্রশাসন রাজনৈতির নিরপেক্ষতা নয়, রাজনীতির মোডে রয়েছে। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। যা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করছে।
বরাবরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বরাবরই প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ নিয়ে সরব। দিন কয়েক আগে তিনি নদিয়ার তেহট্টে সেনা জওয়ানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদে প্রশাসনের তরফে আপ্যায়ন করা হলেও, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদকে সেই অনুষ্ঠানে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সাংসদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হতে পারে। কিন্তু ভিডিও দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। বিজেপি সাংসদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা অন্যায় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বহরমপুর সফরে নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেছিলেন সব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াটা রাজ্যের কাজ। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা তুলে নেওয়াটা প্রজাতন্ত্রের ওপরে আঘাত। সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করে রাজ্যপাল বলেছিলেন, রাজনৈতিক আচরণ ঠিক হলে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় আর না হলে তা তুলে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তিনি কারও লোক নন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করার জন্যই তিনি এসেছেন।