রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিলেন 'ক্ষুব্ধ' রাজ্যপাল!
ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার সকালে স্ত্রীকে নিয়েই ভোট দিতে আসেন সংবিধানিক প্রধান। প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের অফিসে ভোট দেন তাঁরা। আর ভোট দিয়ে বেরিয়েই কার্যত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।

শুধু তাই নয়, কমিশনারের এক নির্দেশিকা নিয়ে কার্যত তোপ দাগেন তিনি। আর সেই অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
রবিবার রাজ্যপাল বলেন, গভীর রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এক নির্দেশ জারি করেন। জারি করা নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন কেন্দ্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঢোকার অনুমতি শুধুমাত্র দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই নির্দেশিকাতে রাজ্যপালের নাম নেই! আর তাই আমার নিরাপত্তারক্ষীরা সেই নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বাইরে রেখেই ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ভোট রাজ্যপাল দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তবে এই বিষয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি ধনখড়। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এহেন নির্দেশিকাতে তিনি যে ক্ষুব্ধ তা রাজ্যপালের শারীরিক ভঙ্গিতে ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর টুইটে অভিযোগ করেন, কালীঘাটের নির্দেশেই এই বিজ্ঞপ্তি। মমতা ও অভিষেকের নাম না নিলেও তিনি লেখেন, 'জেড প্লাস নিরাপত্তা পান এমন ভোটার কলকাতা পুর এলাকায় রয়েছেন একমাত্র পিসি ও ভাইপো। তাঁদের সুবিধার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি।'
উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলাতে জেড প্লাস নিরাপত্তা পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্টত নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকাতে বোঝাই যাচ্ছে নির্দেশিকা কোন দিকে ইঙ্গিত করছে। অভিযোগ বিরোধীদের।
উল্লেখ্য, ভোটপর্ব চলাকালীন একাধিকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেন রাজ্যপাল। কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। শুধু তাই নয়, কমিশনার সৌরভ দত্তের সঙ্গে এক সাক্ষাতে কমিশনকে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন রাজ্যপাল। প্রায় ঘন্টাখানেক তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন ধনখড়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। যদিও এরপরেও এই নির্দেশিকা ক্ষুব্ধ হলেও বিশেষ কিছু বুঝতে দেননি। স্পষ্ট বলেন, নির্দেশ সবাইকে মানা উচিত।
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল বিজেপির সুরে কথা বলেন। ফলে এত গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে দাবি এক নেতার।
