যাদবপুরে এক ঘণ্টা ধরে আটকে গাড়ি থেকে রাজ্যপালের টুইট ! মমতাকে দিলেন কোন বার্তা
একঘণ্টা ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আটকে ছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড়।
একঘণ্টা ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আটকে ছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড়। আর সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পর গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ার পর তিনি ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। এরপর শুরু হয় সমাবর্তন। বাংলার নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আচার্য ধনকড় এভাবে ঘেরাও থাকাকালীন গাড়ি থেকেই একের পর এক টুইটে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন। টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতেও ছাড়েননি।
|
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ ধনকড়ের
কার্যত এক ঘণ্টা ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে আটকে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই সময় তিনি গাড়ির ভিতর থেকে এক টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তোপ দেগে লেখেন, 'সমাবর্তন নিয়ে নিয়ম মানা সংক্রান্ত আমার নির্দেশ উপাচার্যের কাছে থাকা সত্ত্বেও একই পরিস্থিতি তৈরি হল। চরম অসহায়তা নিয়ে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছি । .. ' এরপরই তিনি আত্মানুসন্ধানের ডাক দেন।
আইন শৃঙ্খলার অবনতি
ক্যাম্পাসে তখন সোচ্চারে উঠছে গো ব্যাক স্লোগান। রাজ্যপালের গাড়ি আটকে তখন দেখানো হচ্ছে কালো পাতাকা । এমন পরিস্থিতিতে একের পর অক টুইটে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে মমতাকে সরাসরি টুইট করেন রাজ্যপাল ধনকড়। তিনি বলেন,পড়ুয়াদের বহু প্রতীক্ষার ফসল এই সমাবর্তন। আর সেখানেই এমন বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা যায়না।
|
উপাচার্যের 'অসহায়তা' নিয়ে ক্ষোভ ধনকড়ের
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয় ধনকড়ের। তারপর, তিনি টুইটে জানান, বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের বাধা কাটাতে তিনি অপারগ। আর উপাচার্যের এমন বক্তব্য পেতেই ক্ষুব্ধ হন আচার্য।
|
'উপাচার্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি'
এদিন এক টুইটে জগদীপ ধনকড় দাবি করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস , গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহতি হয়েও তাঁকে ফোন করেননি। বিক্ষোভে আটকে পড়ে রাজ্যপালই সুর়ঞ্জন দাসকে ফোন করেন বলে জানা গিয়েছে ধনকড়ের টুইটে। ঘটনাকে তিনি 'যন্ত্রণাদায়ক' বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
যাদবপুরের বিক্ষোভকে 'পরিকল্পিত ঘটনা' বলে ক্ষোভ উগড়ালেন ধনকড়! কাকে রাখলেন নিশানায়
যাদবপুর উত্তাল সমাবর্তনের দিন ! পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের পর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল