মাধ্যমিকের সময় রাজ্যপালের উপস্থিতিতেই স্পিকার বাজিয়ে মেলা! আইন ভাঙায় উঠছে প্রশ্ন
দুই দিন হল শুরু হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক। এবং সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে মাইক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই বুধবার উলুবেড়িয়ার এক মেলায় তারস্বরে বাজল মাইক ও গান। প্রসঙ্গত, সেই মেলায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এবং রাজ্যপালের উপস্থিতিতে অন্যরকম ঘটনা ঘটনায় বিতর্কের পারদ চড়েছে আরও কয়েক গুণ।
মাইক ব্যবহার করায় অসুবিধায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা
বুধবার উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের অনন্তপুরে মিল মাঠে একটি মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার উদ্বোধনেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যপালকে। সেখানে গিয়ে স্বস্ত্রীক গিয়ে রাজ্যপাল মেলার উদ্বোধন করেন। সেই সময় শুরু হয় মাইক বাজা। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাইক ব্যবহার করায় অসুবিধায় পড়ে এলাকার পরীক্ষার্থীরা।
প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে
এই অনুষ্ঠান মঞ্চেই বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই বক্তব্য বাজছিল বেশ জোরে। তাছাড়া চারটি বড় বড় সাউন্ড বক্স বাজছিল মেলা প্রাঙ্গনে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও। অনেকেরই প্রশ্ন যিনি সবসময় সংবিধান মেনে চলার পরামর্শ দেন তাঁর উপস্থিতিতে কী করে এরকম মাইক বাজে এবং সেখানে তিনি নিজেই বক্তৃতা রাখেন।
রাজ্যপালকে কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
রাজ্যপালের এই কাজকে কটাক্ষ করেছেন শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হাওড়ার পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ। মেলা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তারা পুলিশের কাছ থেকে মেলার অনুমতি নিয়েছিল। কিন্তু মাইক বক্স বা সাউন্ড বক্স বাজানোর অনুমতি ছিল না তাদের কাছে।
মেলাস্থলের অদূরেই অনন্তপুর হাইস্কুল ও বেলপুকুর হাই স্কুল
এদিকে মেলাস্থলের অদূরেই অনন্তপুর হাইস্কুল ও বেলপুকুর হাই স্কুল। প্রচুর পরীক্ষার্থী রয়েছে সেখানে। ডিজের আওয়াজে অসুবিধায় পড়ে সেখানের পরীক্ষার্থীরাও।