জিআই ট্যাগের পর রসগোল্লার ব্র্যান্ডিং-এর পথে রাজ্য
এবার রসগোল্লার ব্র্যান্ডিং-এর পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। ব্র্যান্ডিং-এর পথে এগোলে ভিন্ন রাজ্য তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে নবান্ন।
এবার রসগোল্লার ব্র্যান্ডিং-এর পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। বাংলার রসগোল্লা হিসেবে জিআই ট্যাগ মিলেছিল আগেই। এবার ব্র্যান্ডিং-এর পথে এগোলে ভিন্ন রাজ্য তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে নবান্ন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবসা
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর এবং রাজ্য সরকার বিভিন্ন রাজ্য এবং আন্তর্জাতিক স্তরে রসগোল্লার মার্কেটিং করতে চায়। এই মার্কেটিং করতে গেলে জিআই ট্যাগের সঙ্গে লাগবে ব্র্যান্ডিং। দুটি একসঙ্গে থাকলে বিদেশি মুদ্রা যেমন আসবে, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারেরও লাভ। লাভ মিষ্টি ব্যবসায়ীদেরও।
রসগোল্লার ব্র্যান্ডিং পলিসি
বাংলার রসগোল্লার জন্যই ব্র্যান্ডিং পলিসি নিয়েছে নবান্ন। পলিসিতে রয়েছে রসগোল্লার মাপকাঠি। মাপকাঠিতে রয়েছে, ২৬৯ কিলো ক্যালরি শক্তি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট এবং ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এই মাপকাঠি থাকলে নির্দিষ্ট সংস্থাকে বাংলার রসগোল্লার ব্র্যান্ডিং দেওয়া হবে।
মিষ্টি-বৈঠক
ব্র্যান্ডিং পলিসি নিয়ে মিষ্টি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আগামি সপ্তাহে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। বাংলার রসগোল্লাকে ঠিকঠাক পেতে, নির্দিষ্ট মাপকাঠি তাদের সামনে তুলে ধরা হবে।
ব্র্যান্ডিং-এর পর প্যাকেজিং
ব্র্যান্ডিং-এর পর গুরুত্ব প্যাকেজিং-এ। প্যাকেটের গায়ে জিআই লোগো যেমন থাকবে, তার সঙ্গে বাংলার রসগোল্লা ব্র্যান্ডটাও দিতে পারবে নির্দিষ্ট মিষ্টি প্রস্তুত কারক সংস্থা।
জিআই লোগোর সঙ্গে বাংলার রসগোল্লার ব্র্যান্ডি থাকলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার রসগোল্লা চেনাতে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার।