রাজ্যে অভিযোগের ৯৩ শতাংশের সমাধান করেছে সরকার! 'উপান্ন' উদ্বোধনে গিয়ে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে অভিযোগের ৯৩ শতাংশের সমাধান করেছে সরকার! 'উপান্ন' উদ্বোধনে গিয়ে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে অভিযোগের ৯৩ শতাংশের সমাধান করেছে সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫২ হাজার হেক্টর রুক্ষ জমিতে মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের নতুন ভবনের উদ্বোধন
পর্যালোচনা বৈঠকের পরেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন সংলগ্ন তিনতলা একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নাম দিয়েছেন উপান্ন ভবন। এই ভবনে থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল।
অভিযোগের ৯৩ শতাংশেরক সমাধান হয়েছে
রাজ্য সরকার গঠিত গ্রিভান্স সেলে ৭ লক্ষ ৮৯ হাজার অভিযোগ বা সমস্যার সমাধান চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। এর ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। যে ৫৪ হাজার আবেদন এখনও রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও অভিযোগ জানিয়ে তার সমাধান পেলে মানুষ তৃপ্তি পান। এটা বড়ো কাজ। পরিকল্পনা থাকলেই এটা সম্ভব হয়। মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন তাদের সরকার, প্ল্যান এ, বি ও সি নিয়ে চলে।
মাছ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হবে রাজ্য
তিনি এদিন কৃষি, কৃষি বিপণন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ উদ্যানপালন-সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর জানান, রায়পুর, বিলাসপুর, হায়দরাবাদ-সহ ভিনরাজ্য থেকে মাছ আনার খরচ আছে। রাজ্যে মাছের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ময়না মডেল-সহ বিভিন্নভাবে রাজ্য মাছ উৎপাদনেও স্বাবলম্বী হবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে ১৪ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হতো তা বিগত ৮ বছরে বেড়ে হয়েছে ১৮ লক্ষ টন। মুরগির মাংস উৎপাদন ২০১১ সালে যেখানে ৫ লক্ষ টন ছিল তা বেড়ে হয়েছে ৯ লক্ষ টন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে, আগে হতো না। সাড়ে ৭ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে মুর্শিদাবাদের নওদায়। ড্রাগন ফল, অর্কিড চাষের পাশাপাশি তুষের তেল উৎপাদনেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক মায়ের দুই কন্যা কৃষি আর শিল্প
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি আর শিল্প এক মায়ের দুই কন্যা। এতে কর্মসংস্থান হয়। ৫২ হাজার হেক্টর রুক্ষ জমিতে মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, ওই জমিকে নমনীয়, সজীব করে তোলা হবে। এতে আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যে কৃষি-শিল্পের একসঙ্গে উন্নতি হয়েছে। তৈরি হয়েছে কর্ম সংস্থান। তাই বেকারত্বের হার অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, করোনা রোগীদের হেনস্থা করবেন না। তিনি বলেন, রোগ যে কারও হতে পারে। লড়াই রোগের বিরুদ্ধে, রোগীর বিরুদ্ধে নয়। কেউ ভয় পাবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে।
একসঙ্গে কৃষি ও শিল্পের উন্নতিতে প্রচুর কর্মসংস্থান! রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ, দাবি মমতার