মোর্চার তাণ্ডব চলছেই, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তৃণমূলের ‘ভরসা’ পাহাড়বাসীরাই
‘পাহাড়ে মোর্চার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত মোর্চার এই বনধ রাজনীতির উপর। সচেতন পাহাড়বাসীই মোর্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবে।’
পাহাড় দাপাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিমল গুরুংদের সেই হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের মোকাবিলায় মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে এখনই সংঘর্ষে লিপ্ত হতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তৃণমূল ভরসা রাখছে প্রশাসনের উপরই। সেইসঙ্গে পাহাড়ের মানুষের উপরও তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানান দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
তিনি জানান, পাহাড়ে মোর্চার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত মোর্চার এই বনধ রাজনীতির উপর। সচেতন পাহাড়বাসীই মোর্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। পাহাড়ে মোর্চা সহযোগী দলগুলিই পাহাড় বনধের বিরোধিতা করছে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে।
এদিকে মোর্চার হামলায় জীবন্ত দগ্ধ ট্রাক চালক অনিকেত ছেত্রীর মৃত্যুর পর শিলিগুড়িতে মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। গৌতমবাবু জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতরাতে তাঁর মৃত্যু রয়েছে। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়ে। অনিকেতের দেহ নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এই মিছিলে অংশ নিয়ে গৌতমবাবু জানান, মোর্চার হিংসা মাত্রাছাড়া রূপ নিয়েছে। ট্রাক থেকে নামিয়ে চালকের গায়ে আগুন দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে মোর্চা সমর্থকরা। তবে এখনই এই মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ে আন্দোলনে সামিল হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা ভরসা রাখছেন প্রশাসনের উপর। সেইসঙ্গে পাহাড়ের সুশীল সমাজের প্রতিও তাঁদের আস্থা রয়েছে।
গৌতমবাবু বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। আমরা চাইছি পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে ফের মোর্চার তাণ্ডবে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশকর্মীরা। তিন পুলিশকর্মী হাসপাতালে ভর্তি। দু'জনের খোঁজ মিলছে না।
রাতভর মোর্চা সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে মিরিকে। মিরিক পুরসভার ভাইসচেয়ারম্যান এমকে জিম্বার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাঁর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আগুন ধরানো হয় মিরিকে কৃষি দফতরের অফিসেও।