পৃথক গোর্খাল্যান্ড আর কোনও ইস্যু নয় পাহাড়ে! আর ভাঙা নয়, গড়তে চায় সবদলই
গত তিন দশকে এই প্রথমবার দার্জিলিং পাহাড়ে ভোটে গোর্খাল্যান্ড কোনও ইস্যুই নয়।
গত তিন দশকে এই প্রথমবার দার্জিলিং পাহাড়ে ভোটে গোর্খাল্যান্ড কোনও ইস্যুই নয়। আন্দোলন সুরু করা জিএনএলএফ থেকে শুরু করে বর্তমানের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সবারই এবারের স্লোগান উন্নয়ন। এলাকায় গণতন্ত্র বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছে সবকটি রাজনৈতিকদলই।
নির্বাচন আসলেই সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল আর আলাদা রাজ্যে দাবিতে সোচ্চার হত একাধিক রাজনৈতিক দল। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
দার্জিলিং আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন জনমুক্তি মোর্চা নেতা অমর সিং রাই আলাদা রাজ্যের দাবি এবারের ভোটে ইস্যু নয়। তারা পাহাড়ে উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন। কেননা পাহাড় বহু বছর ধরে অবহেলিত ছিল। একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। গত দশ বছর থেকে পাহাড়ে বিজেপির সাংসদ থাকলেও তিনি কিছুই করেননি। এবার তার লড়াই বিজেপির রাজু সিং বিস্তের বিরুদ্ধে। যিনি একজন প্রাক্তন জিএনএলএফ নেতা। এবার মূল লড়াই হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে।
শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেছেন, আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে অনেক রক্ত ঝড়েছে। কিন্তু উন্নয়ন পিছনে চলে গিয়েছে। আলাদা রাজ্যের দাবিকে সরিয়ে রেখে পাহাড়ের মানুষের জন্য উন্নয়নই এখন লক্ষ্য।
দার্জিলিং-এর বিজেপি সভাপতি মনোজ দিওয়ান বলেছেন, এবার আলাদা রাজ্যের দাবি কোনও ইস্যু নয়। গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। কেননা এলাকায় পুলিশ এবং বিনয় তামাং গোষ্ঠী সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছে। একই মন্তব্য করেছেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং গোষ্ঠীর নেতা লোকসাং লামা। তিনি বলেছেন, পাহাড়ে সমস্যার সমাধান চার তারা।
পাহাড়ের বর্ষীয়ান রাজনীতিক কল্যাণ দিওয়ান বলেছেন, তিন দশকে এটাই প্রথমবার যেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা হয়নি।
রাজ্যের শাসকদল বরাবরই আলাদা রাজ্যের দাবিতে বিরোধিতা করেছে। তবে সেখানকার সমস্যা, যেমন পানীয় জল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছে শাসক দল।
[আরও পড়ুন:চিনকে সাঁড়াশি চাপ আমেরিকার! জঙ্গি মাসুদকে নিষিদ্ধ করতে উঠে-পড়ে লাগল মার্কিন প্রশাসন]
৮০ দশকে প্রথমবার পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবি উঠেছিল। যা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয় ১৯৮৬ সালে। প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১২ শো মানুষের। এরপর ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল গঠনের মধ্যে দিয়ে সেই সংঘর্ষ থাকে। হিল কাউন্সিল গঠনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠনের পর ২০০৭ সাল তেকে পাহাড়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়। ২০১১-তে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার জিটিএ গঠন করে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পুঞ্চ, রজৌরির আকাশে যুদ্ধবিমান! হাই অ্যালার্ট এলাকায়]