নেপালের মাওবাদীদের সঙ্গে পাহাড়ে অশান্তির যোগসূ্ত্র প্রসঙ্গে যা বলল মোর্চা
গত কয়েক সপ্তাহে অশান্তির ভয়ঙ্কর আগুন দেখেছেন পাহাড়বাসী। এই সবের জন্য মোর্চার নেপথ্যে মাও যোগ থাকার অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দাসূত্রে থেকে এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে অশান্তির ভয়ঙ্কর আগুন দেখেছেন পাহাড়বাসী। ক্রমাগত আগুন লাগানো হয়েছে সরকারি দফতর তথা সরকারি কর্মীদের কোয়ার্টারে। মোর্চার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়েছে সড়ক যোগাযোগ। ক্ষতির মুখে চা শিল্প তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন। আর এই সবের জন্য মোর্চার নেপথ্যে মাও যোগ থাকার অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দাসূত্রে থেকে এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দা বিভাগের এক রিপোর্ট অনুযায়ী , নোপালের মাওবাদীরা মোর্চাকে সমর্থন জানাচ্ছে। এমনকি নেপাল থেকে সীমান্ত পার করে ভারতে কয়েকজন নেপালী মাওবাদী নেতাও অনুপ্রবেশ করেছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। আর এই নেপালী মাওবাদের সহায়তাতেই অশান্তির আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। এমনই বহু তথ্য সম্বলিত একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের হাতে তুলে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
দার্জিলিং -এর অচলাবস্থা সংক্রান্ত একটি পিআইএল -এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এই তথ্য জমা দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে একটি এফিডেভিটে এও বলা হয় যে ৩১ দিনের এই অচলাবস্থায় ৩৫৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
এদিকে, নেপালি মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ থাকার এই তথ্য়কে মিথ্যা দাবি বলে উড়িয়ে দেয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি যুব মোর্চার নেতা, প্রকাশ গুরুং জানিয়েছেন,' সরকার আমাদের পার্টিকে কলঙ্কিত করার জন্য এসব কথা বলছে রাজ্য সরকার। এগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্য। আমাদের সপক্ষে জনসমর্থন রয়েছে। আমরা বিজেপি ও এনডিও-র শরিক।' পাশপাশি তাঁর দাবি, তাঁদের আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে চলছে।
গুরুং আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কখনও দাবি করে তাঁরা উত্তরপূর্বের উগ্রপন্থী ভাবধারা নিয়ে চলছেন। আবার কখনও বলা হয়, নেপালি মাওবাদ তাঁদের সঙ্গে সংযুক্ত। তিনি বলেন ,' গোর্খাদের সম্পর্কে এরকম ভুল ভাবধারার জন্যই আমাদের আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি।'