তৃণমূলকেই সমর্থন গুরুংদের, পুরভোটের আগে পাহাড়ের পর সমতলেও বড়প্রাপ্তি মমতার
তৃণমূলকেই সমর্থন গুরুংদের, পুরভোটের আগে পাহাড়ের পর সমতলেও বড়প্রাপ্তি মমতার
মোর্চা বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে ২০২১-এর আগেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তারা তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু সাফল্য আসেনি ভোট বিভাজনের কারণে। তবুও তারা তৃণমূলের পাশেই থাকছে। ২০২২-এর পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা।
শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন ছিল, এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা কোন দিকে ঢলবে। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কোনও লাভ হয়নি মোর্চার। বিজেপি ফায়দা তুলেছে। ভোট পরবর্তী সময়ে আবার পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গিয়েছে।
বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরে আসার পর তাঁর হাতেই বর্তমানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ব্যাটন। বিনয় তামাং মোর্চা সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তিনি দল ছাড়েন ভোটের পরেই। এখন তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর বিনয় তামাংয়ের সঙ্গী অনীত থাপা নতুন দল গড়েছেন। গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা নামে সেই দলও তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
এবার গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার স্পষ্ট করে দিল তারা তৃণমূলকেই সমর্থন করবে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়ে দেন, শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দেবেন মোর্চাকর্মী ও সমর্থকরা। দলের তরফে শিলিগুড়ির মানুষের কাছে তিনি আর্জি জানান, মানুষ যেন তৃণমূলকেই ভোট দেয়।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন মোর্চা তৃণমূলকে সমর্ছথন করলেও বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন মোর্চার সমর্থন ছিল বিজেপির দিকে। বিজেপিই ২০১৯-এর নির্বাচনে জয়ী হয়। কিন্তু ২০১৯-এর পর থেকেই ঘুরতে শুরু করে পাহাড়ের সমীকরণ। বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানান।
সেই থেকেই তৃণমূলের প্রতি সমর্থন অটুট রয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু ২০২১-এ তৃণমূল কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি মোর্চার সমর্থনের। পাহাড়ের তিনটি আসনের মধ্যে বিজেপি দুটি আসনে জয়ী হয় আর বিনয়পন্থী মোর্চা জেতে একটি আসনে। বিমলপন্থী মোর্চা কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি। বিমল-বিনয় উভয়কেই হাতে রেখে একটি আসন নিজেদের পক্ষে রাখতে সমর্থ হয় তৃণমূল।
এবার পুরসভা নির্বাচনের আগে বিমল গুরুংয়ের মোর্চার সেনাপতি রোশন গিরি জানিয়ে দেন তৃণমূলকে সমর্থন করবেন গোর্খারা। বিজেপি এতদিন তাদের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে। ১০-১২ বছর ধরে পাহাড়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করা হয়েছে। তার এবার বন্ধ হওয়া দরকার। শিলিগুড়ির পুরভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করছে মোর্চা, পাহাড়ের পুরভোটে তারা লড়বে। এখন দেখার পাহাড়ে তারা তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে কি না।