গুরুংয়ের উসকানিতে ফের হিংসা পাহাড়ে, জোর করে স্কুল বন্ধ মোর্চার, ভাঙচুর
উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড় শান্ত হয়ে উঠছিল। তবে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তারই জেরে ফের অশান্তি শুরু হল।
মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় বৈঠকের পর স্বাভাবিক ছন্দ ফিরতে শুরু করেছিল পাহাড়ে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। মোর্চা সু্প্রিমোর উসকানিতে ফের জ্বলতে শুরু করল পাহাড়। শুক্রবার কালিম্পংয়ে জোর করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মোর্চার গুরুংপন্থী বন্ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মোর্চার সমর্থকরা ভাঙচুর চালাল স্কুলবাসে। এরপরই মোর্চা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে পাহাড়ে স্কুল-কলেজ খুলতে শুরু করেছিল। পুলিশও নিরাপত্তা দিতে তৎপর ছিল। টহল চালাচ্ছিল স্কুল চত্বরে এবং রাস্তায়। তবু অশান্তি রুখতে পারল না পুলিশ। এদিন কালিম্পংয়ে জোর করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের বাস আসছিল, সেই বাস থেকে পড়ুয়াদের নামিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করে মোর্চা সমর্থকরা।
মোর্চা সমর্থকদের এই হিংসা ছড়ানোর ঘটনার বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই পুলিশের সঙ্গে মোর্চা সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে মোর্চা সমর্থকরা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মোর্চা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। এই ঘটনায় মোর্চা সমর্থকদের পাশাপাশি তিনজন পুলিশকর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন। ১০ জন মোর্চা সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড় শান্ত হয়ে উঠছিল। তবে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক না হলে বনধ তোলা যাবে না। বনধ তোলার চেষ্টা করলে পাহাড়ে ফের আগুন জ্বলবে। জনতার কারফিউ চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আর তারপরই ফের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।