পাহাড়ে অব্যাহত মোর্চার হিংসা-উল্লাস, সর্বদল বৈঠকের মাঝেই জিটিএ দফতরে আগুন
জিটিএ-র ক্রীড়া ও যুব দফতরে আগুন লাগানোর পিছনে অন্য কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জিটিএ-তে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পরই এই আগুন।
একদিকে যখন সর্বদল বৈঠক নিয়ে তোড়জোড় চলছে, তখনই জিটিএ দফতরে আগুন লাগিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হল পাহাড়ে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দিকে। জিটিএ-তে অগ্নিসংযোগের ফলে যুব ও ক্রীড়া দফতর প্রায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে দফতরের সমস্ত নথি। অভিযোগ, সর্বদলীয় বৈঠকের মাঝেই সরকারি দফতরে আগুন লাগিয়ে মোর্চা বুঝিয়ে দিতে চাইল হিংসার আন্দোলন থেকে তাঁরা এক পা-ও সরছে না।
এদিকে মঙ্গলবার মিরিকে বসেছে সর্বদল বৈঠক। এই বৈঠক এক সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়েছে। তাতে পাহাড়ের মানুষ মনে করছে, মোর্চা এবার শিথিল করতে পারে পাহাড় বনধ। কারণ পাহাড়ের মানুষের রসদ ফুরিয়েছে, টান পড়েছে ভাঁড়ারে। এই অবস্থায় বনধের রাজনীতি বরদাস্ত করবে না পাহাড়ের মানুষই। তার পাশাপাশি পাহাড় সমস্যার সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনাও করে নিতে চাইছে পাহাড়ের দলগুলি।
মোর্চা নেতৃত্ব যখন সুগঠিত একটা ভাবনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে চাইছে, তখন কেন মোর্চা সমর্থকরা পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে হিংসার ছড়াতেই ব্যস্ত থাকলেন? এই প্রশ্ন উঠে পড়েছে। এদিন বৈঠক শুরুর আগেই জিটিএ দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে দমকল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
জিটিএ-র ক্রীড়া ও যুব দফতরে আগুন লাগানোর পিছনে অন্য কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জিটিএ-তে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জিটিএতে বহু টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। এখন আগুন লাগিয়ে নথি পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাট করতে চাইছে বলে অভিযোগ।