ইউএপিএ ধারাতেও ভয়ডর নেই, পাহাড়ে ছয়মাইল আউটপোস্ট উড়ল বিস্ফোরণে
অচলাবস্থা জারিই রয়েছে পাহাড়ে। গুরুংয়ের সমর্থনকারীরা তাঁদের অস্তিত্ব জানান দিতেই পাহাড়ে এভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে বলে পুলিশের ধারণা।
পাহাড়ে বিস্ফোরণ হয়েই চলছে। আবারও বিস্ফোরণ দার্জিলিংয়ে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও বনধের পাহাড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। প্রশাসন সচেষ্ট হয়েও তা ঠেকাতে ব্যর্থ। এমনকী বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেও মোর্চা সমর্থকদের মনে ভয় ধরাতে পারেনি পুলিশ। জঙ্গি কার্যকলাপের ধাঁচেই পাহাড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ হল দার্জিলিংয়ের ছয়মাইলে। ছয়মাইলের পুলিশ আউটপোস্টে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তালাবন্ধ ছিল ওই আউটপোস্ট। ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আউটপোস্টে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছিল। সেই থেকেই তালাবন্ধ রাখা হয়। এদিন আবার সেই তালাবন্ধ আউটপোস্টেই বিস্ফোরণ ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, আইইডি বিস্ফোরণে ওড়ানো হয়েছে আউটপোস্ট। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সেন্সর।
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে নবান্নে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ে বনধ তুলে নেওয়ার ঘোষণাও হয়। এবং তারপর থেকেই মোর্চায় বিভাজনের সূত্রপাত। গুরুংয়ের বিরোধিতায় বনধ শেষমেশ ওঠেনি। অচলাবস্থা জারিই রয়েছে পাহাড়ে। গুরুংয়ের সমর্থনকারীরা তাঁদের অস্তিত্ব জানান দিতেই পাহাড়ে এভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে বলে পুলিশের ধারণা।
শান্তি বৈঠকের দিনই মিরিক পুরসভা ওড়ানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পুরসভা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বরাতজোরে বোমা না ফাটায়, রক্ষা পায় পুরসভা। এর আগে দার্জিলিং চকবাজার, কালিম্পংয়ে গ্রেনেড হামলা ও আইইডি হামলা ঘটে। পেশকে ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়, সুখিয়াপোখরি থানাতেও বিস্ফোরণ ঘটে।