আলোচনায় বসলেও পাহাড়ে এখনই বনধ উঠছে না, মচকাচ্ছে তবু ভাঙছে না মোর্চা
নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত বড় দলকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে পাহাড়ের সমস্ত বোর্ড, জিএনএলএফ, এমনকী মোর্চাকেও থাকার আর্জিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক হলেও এখনও বনধ তোলার কোনও প্রশ্নই নেই। মোর্চা মচকালেও ভাঙছে না। যতই জিএনএলএফ মোর্চা-সঙ্গ ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শান্তির আবেদন জানাক, মোর্চা নেতা বিনয় তামাং সাফ জানালেন পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধ এখন চলবে। পাহাড় থেকে সেনা-পুলিশ প্রত্যাহার না করা হলে বনধ তোলার কোনও প্রশ্নই নেই।
[আরও পড়ুন:গুরুংয়ের গ্রেফতারি হোক বা বৈঠকে মোর্চাকে আহ্বান, পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই উদ্দেশ্য]
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকার নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে আগামী ২৯ আগস্ট। নবান্নের বৈঠকে সমস্ত বড় দলকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে পাহাড়ের বোর্ডগুলির পাশাপাশি জিএনএলএফকেও থাকার আর্জিও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মোর্চার নাম না করে তাদেরও উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনির্দিষ্টকালীন বনধের জেরে চূড়ান্ত অচলাবস্থা চলছে পাহাড়ে। পাহাড়বাসীর কাছে রসদ বলতে কিছুই নেই। তবু মোর্চা বনধ তোলেনি। শেষে চাপে পড়ে মোর্চা নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করছে। সেই সূত্র ধরেই রাজ্য সরকার আহ্বান জানিয়েছেন তাদের আলোচনায় আসার। তবু বনধ তোলা হবে না বলে বার্তা দিয়ে রাখল মোর্চা।
এদিন বিনয় তামাং জানান, 'এখনই বনধ তোলার সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করছি না। আগে আলোচনা হবে, তারপর গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সর্বসম্মতভাবেই পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।'
সম্প্রতি বিনয় তামাংকে আহ্বায়ক পদে নিযুক্ত করেছে মোর্চা। তিনিই জানান মোর্চা আলোচনার জন্য তৈরি। রাজ্যের সঙ্গেও তারা আলোচনায় বসতে রাজি। তারা চান ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই সমাধান হোক পাহাড়়ের। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল, বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-সহ একাধিক নেতার নাম রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় যুক্ত হওয়ায় চাপে পড়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত।