চাপে পড়ে অবস্থান বদল মোর্চার, রাজ্যের প্রতি সন্ধির বার্তা গুরুংদের
অগ্নিগর্ভ পাহাড়। আড়াই মাসেও কমেনি উত্তাপের পারদ। অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলছে। ভাঙচুর, আগুন, প্রাণহানির পর এতদিনে অবস্থান বদল করে রাজ্যকে শান্তির বার্তা মোর্চার।
চাপের মুখে পড়ে অবস্থান বদল করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর পক্ষ থেকে এবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হল রাজ্যের কাছেও। এতদিন শুধু কেন্দ্রের সঙ্গেই তাঁরা বৈঠকে বসবেন বলে অবস্থানে অনড় ছিলেন গুরুংরা। মোর্চা সেই অনড় মনোভাব থেকে সরে এসে ইতিবাচক বার্তা দিল। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়পক্ষের কাছেই মোর্চা আবেদন করল আলোচনায় বসার জন্য।
প্রায় আড়াই মাস হতে চলল অগ্নিগর্ভ পাহাড়। উত্তাপের পারদ আদৌ কমেনি পাহাড়ে। অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলছে। সেইসঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগুন, হিংসায় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু আলোচনার রাস্তায় আসতে রাজি হয়নি মোর্চা। তাঁদের এক কথা, গোর্খাল্যান্ড চাই। কেন্দ্রকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। রাজ্যকে তাঁরা মানবেন না।
সেই অবস্থান থেকে সরে এসে এবার রাজ্য সরকারের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দিল মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চার তরফে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আর্জিও জানানো হল। মোর্চার পক্ষ থেকে বিনয় তামাং জানান, পাহাড়ে শান্তি স্থাপন হোক চান তাঁরা। তাই রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের কাছেই মোর্চার তরফে আবেদন জানানো হয়েছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁদের আপত্তি নেই।
এর মধ্যে আবার মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু-দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-সহ মোর্চা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়। এরপরই নিজেদের অবস্থায় বদল করার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় জঙ্গি-যোগের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফের। যদিও বিনয় তামাং জানান, তাঁদের সঙ্গে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ নেই। তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।
পাহাড় নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে মোর্চা নেতৃত্ব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার আর্জি জানান রাজনাথ সিং। মোর্চাকেও নমনীয় হতে বার্তা দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় অনশন প্রত্যাহারও করেন নেয় যুব মোর্চা। কিন্তু তারপরই বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পাহাড়ে।