ভয় পেয়ে পাহাড়ে আসছেন না গুরুং! রোশনের বার্তার পর সরল পতাকাও
মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন আপাতত গুরুং পাহাড়ে আসছেন না। আর এই বার্তার পরই বিনয়-অনীত শিবিরের তরফে সরিয়ে দেওয়া হল গুরুংয়ের ছবিসম্বলিত পতাকা।
অডিও বার্তা পাঠিয়ে ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে প্রকাশ্যে আসার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। কিন্তু দিন এগিয়ে আসতেই পিছু হটলেন পাহাড়ের স্বঘোষিত 'মুখ্যমন্ত্রী'। প্রেস বিবৃতিতে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন আপাতত গুরুং পাহাড়ে আসছেন না। আর এই বার্তার পরই বিনয়-অনীত শিবিরের তরফে সরিয়ে দেওয়া হল গুরুংয়ের ছবিসম্বলিত পতাকা। কালিম্পংয়ে গুরুংয়ের ছবি লাগানো পতাকা সরিয়ে বিনয়পন্থীরা ভরিয়ে দিলেন মোর্চার পতাকায়।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়েছেন, ত্রিপাক্ষিত বৈঠকের আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা। তাই এই সময়ে পাহাড়ে গেলে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। রাজ্যও সরে যেতে পারে বৈঠক থেকে। তাই পাহাড়ে যাওয়ার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কেন্দ্র, রাজ্য ও মোর্চার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে পাহাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোর্চার মহিলা নেত্রী বন্দনা ইয়ানজনকে। তাঁর বিরুদ্ধে বনধের সময় অশান্তি পাকানো ও ভাঙচুরের অভিযোগ ছিল।
গুরুংয়ের পিছু হটা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এসব আসলে বাহানা। মুখরক্ষার জন্যই রোশন গিরি ওই বার্তা দিয়েছেন। আসলে পাহাড়ে আসতে ভয় পাচ্ছেন গুরুং। তাঁর সঙ্গে আর মানুষ নেই সেভাবে। ফলে পাহাড়ে এলে সে অর্থে সমর্থন পাবেন না। তাতে তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা থাকছেই। তাই মত বদল করে পিছু হটলেন বিমল গুরুং।
পাহাড়ে মোর্চা সু্প্রিমো আসছেন শুনে কালিম্পং গুরুংয়ের পতাকা লাগিয়েছিলেন মোর্চার একাংশ। এদিন গুরুং আসছেন না শোনার পরই কালিম্পংয়ে অনীত থাপার সভার আগে সেই পতাকা সরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে লাগানো হয় সাধারণ মোর্চার পতাকা। মোর্চার অফিস থেকেো সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুংকে।
উল্লেখ্য, বিনয়পন্থীদের তরফে কালিম্পংয়ে আগেই সভার ডাকা দেওয়া হয়েছিল। মূলত গুরুংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিনয়-অনীতরা। তবে সেইসঙ্গে পাহাড়ে উন্নয়ন বার্তা দেওয়াই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধের জেরে বিপুল পরিমাণ যে ক্ষতি হয়েছে, তা কীভাবে মিটিয়ে ফের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তার রূপরেখাই পাহাড়বাসীর কাছে জানাতে ডাকা হয় সভা। অনীত থাপা পাহাড়বাসীর কাছে তাঁদের লক্ষ্যের কথা জানান।