বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ২০১৯-এর লোকসভায় কোন পথে শরিক, খোলসা করলেন খোদ সভাপতিই
এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। তাই দেরি না করে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন এনডিএ-র এই প্রাক্তন শরিক।
এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। তাই দেরি না করে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন এনডিএ-র এই প্রাক্তন শরিক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিলেন। তাঁদের সমর্থনে জিতেছিল বিজেপি, এবার আর বিজেপির সঙ্গে নয়। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে মোর্চা।
বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ
গতবার দার্জিলিং আসনে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ফলে ড্যাংডেঙিয়ে বিজেপি জিতে গিয়েছিল এই আসনে। বিনয় তামং বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিজেপিকে সমর্থন করা হয়েছিল। পৃথক রাজ্যের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস রাজি হয়নি বলেই বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার সেই কথা রাখেনি।
লোকসভার আগে চরম সিদ্ধান্ত
তবে কি একাই লড়বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েই তাঁরা লড়াই করবেন? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি বিনয় তামাং। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, কিন্তু তাঁরা একা লড়বেন নাকি কাউকে সমর্থন করবেন বা সমর্থন নেবেন, তা চূড়ান্ত হয়নি।
নেতৃত্বে বদল মোর্চায়
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পাহাড় উত্তপ্ত হওয়ার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংগঠনে বিরাট বদল আসে। বিমল গুরুংকে সরিয়ে নতুন সভাপতি হন বিনয় তামাং। তারপর থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সখ্যতা বাড়তে থাকে। বিজেপি পাহাড়ে টিকি পায়নি। সেই জায়গা পুরোপুরি দখল করে নেয় তৃণমূল।
পাহাড়ে বিপাকে বিজেপি
মোর্চা সমর্থন প্রত্যাহার করলে দার্জিলিং আসনটি বিজেপির রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। তৃণমূলের সঙ্গে মোর্চার জোট হলে তো কথাই নেই, মোর্চা এককভাবে লড়লেও বিজেপির আশা ক্ষীণ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মোর্চার জয়ের সম্ভাবনা থাকবে, নতুবা তৃণমূলের।