১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গুরুংপন্থীরাও মমতার পাশে! পুজোয় হাসবে পাহাড়
বিনয় তামাংয়ের পাশে বসেই গুরুংপন্থীরা মমতার সমর্থনে পাহাড়ে শান্তির পক্ষে রায় দিলেন। পুজোর আগে পাহাড়ে শান্তির আবহ।
পাহাড়ে একযোগে শান্তি ফেরানোর আওয়াজ উঠল উত্তরকন্যার বৈঠকে। মোর্চার তরফে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা না হলে বৈঠক বয়কট করার হুমকি দেওয়া হলেও, মঙ্গলবারের বৈঠকের পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল পাহাড় নিয়ে মোর্চার গুরুংপন্থীদের অবস্থান। মোর্চা প্রতিনিধিরাও এক হয়ে রাজ্যের সঙ্গে পাহাড়ে শান্তির আবেদন জানালেন। সেই আঙ্গিকে পাহাড়ের বৈঠক ইতিবাচক বলে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠক থেকে পাহাড়ে বনধ তুলে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে সহমত পোষণ করল সমস্ত দলই। সেইসঙ্গে স্থায়ী সমাধানের জন্য পাহাড়ের দলগুলি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানাল। আগামী ১৬ অক্টোবর ফের বৈঠকের আর্জি জানিয়ে বিনয় তামাং-সহ মোর্চার প্রতিনিধিদের আবেদন, ওইদিনই কেন্দ্র-রাজ্য ও পাহাড়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করা হোক।
উত্তরকন্যায় পাহাড় বৈঠকে এদিন বিনয় তামাং-সহ মোর্চার সাত প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। গুরুংপন্থী সরিতা রাই-সহ দুই বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন জিএনএলএফ, জনতা আন্দোলন পার্টির প্রতিনিধিরা। ছিলেন গোর্খা লিগের প্রতিনিধিরাও। আর ছিলেন শাসক তৃমমূল ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি। এদিন এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন পাহাড়ে নাশকতায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে।
এই প্রসঙ্গেই বিনয় তামাং দাবি করেন, পাহাড় আন্দোলনে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাঁর সেই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন বলে জানান স্বয়ং বিনয় তামাং। সেই সঙ্গে তাঁর আর্জি, কোনওরকম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা যাবে না। তাহলে পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখাতে সমস্তরকম সাহায্য করবেন তাঁরা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের সরকারি অফিস অবিলম্বে খোলার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে তিনি সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজে যোগ দিন সরকারি কর্মীরা। সরকারি কর্মীরা কাজে যোগ দিলে পুজোয় একমাসের অগ্রিম দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।