রণক্ষেত্র কালিম্পং, সরকারি অফিসে আগুন লাগিয়ে দমকলকে ঢুকতে বাধা মোর্চার
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আগুন জ্বলছে মাসাবধি কাল। দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পাহাড়। পায়ের তলার মাটি যত সরছে, ততই আন্দোলনকে হিংসাত্মক রূপ দিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনে ফের আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। পেট্রোল বোমা ছুড়ে সরকারি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরপরই বাধে পুলিশ-মোর্চা খণ্ডযুদ্ধ। এবার উত্তপ্ত পাহাড়ের কালিম্পং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বুধবার মোর্চার আন্দোলন ফের হিংসাত্মক রূপ নেয় পাহাড়। মোর্চা সমর্থকরা মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এনবিএসটিসি-র দফতরে। আগুন লাগানো হয় নন্দরাম ভবনেও। মোর্চা সমর্থকদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় সুপার মার্কেটও।
অগ্নিসংযোগের পর দমকল আগুন নেভাতে এলে দমকল কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সময়ই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। ছোড়া হয় পেট্রোল বোমাও। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে। এই ঘটনায় চারজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের তিন সমর্থকও আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে মোর্চার পক্ষ থেকে।
এদিকে মোর্চার দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নন্দরাম ভবনেই রয়েছে তৃণমূলের কার্যালয়। তবে মোর্চার আগুনে সেই কার্যালয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। সুপার মার্কেটটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটানোর পরই দমকল কাজ শুরু করতে পারে। তারই ফলে দমকলের কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ক্ষতি হয়ে যায়।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আগুন জ্বলছে মাসাবধি কাল। দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পাহাড়। পায়ের তলার মাটি যত সরছে, ততই আন্দোলনকে হিংসাত্মক রূপ দিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথে না হেঁটে পাহাড়ের অন্য দলের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে হিংসা ছড়িয়ে অস্তিত্ব রক্ষায় সামিল হয়েছেন বিমল গুরুংরা।