প্রেম-পর্বের পর বিয়ে চূড়ান্ত, এমন সময় প্রবেশ তৃতীয় জনের, তারপরই নিষ্ঠুর পরিণতি
চূড়ান্ত হয়েছিল, আগামী মাঘেই তাঁদের চার হাত এক হবে। কিন্তু আচমকাই প্রেমিক যুগলের মধ্যে ঢুকে পড়েন তৃতীয় জন। ব্যস, প্রেমে ইতি। ইতি বিয়েতে। তারপরই নির্মম পরিণতি।
একে অপরকে পছন্দ করতেন, গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্কও। তা পরিণতি পেতে চলেছিল বিয়েতে। দুই পরিবারই সম্মত হয়ে বিয়ে ঠিক করেছিল। চূড়ান্ত হয়েছিল, আগামী মাঘেই তাঁদের চার হাত এক হবে। কিন্তু আচমকাই প্রেমিক যুগলের মধ্যে ঢুকে পড়েন তৃতীয় জন। ব্যস, প্রেমে ইতি। ইতি বিয়েতে। তারপরই নির্মম পরিণতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাথী বৈদ্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শৌচালয় থেকে। প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এই ঘটনার আগে ছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তারপর মা বকাঝকাও করেছিলেন। মা বলেছিলেন, সব ভুলে পড়াশোনার মন দিতে, সামনে পরীক্ষা।
এরপরই প্রবল মানসিক চাপে পড়ে সাথী বেছে নেন আত্মহননের পথ। বাথরুমে গিয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে। পুলিশ দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা বুবাই নস্করের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের বিয়েও চূড়ান্ত হয়েছিল।
এরই মধ্যে বুবাই ফোন করে জানায়, সে বিয়ে করতে পারবে না সাথীকে। সে অন্য একটি মেয়েকে ভালোবাসে। এরপরই তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। সম্পর্কের অবনতি হয়, বিয়েও ভেঙে যায়। তারপর থেকেই মনমরা হয়ে থাকত সাথী। তার উপর মা তাকে বকাঝকা করে পড়াশোনায় মন দেওয়ার জন্য। শেষমেশ চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মহত্যা করে বসে ছাত্রী।