করোনা মুক্ত হয়ে মায়ের কোলে ফিরল একরত্তি শিশুকন্যা
চিকিৎসকের তৎপরতায় করোনা মুক্ত হয়ে মায়ের কোলে ফিরল এক মাসের এক রত্তি এক শিশু কন্যা। এদিন এক মাসের ওই শিশু কন্যাকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় মায়ের কোলে তুলে দিলেন কোলাঘাটের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রবীর ভৌমিক। এই বয়সে করোনা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট আসায় চিকিৎসকরাও বর্তমানে চিন্তিত।

জানা গিয়েছে, করোনাকালে শিশুদের টিপিক্যাল কাওয়াসাকি পেডিয়াট্রিক মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম রোগের উপসর্গ হতে দেখা যায়। কাওয়াসকি রোগের উপসর্গ যুক্ত নতুন রোগের চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় 'লুক্কায়িত' করোনা। বেশিরভাগ সময়ে এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট করা হতো না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক মাসের এক শিশুর শরীরে সরাসরি লক্ষণ পাওয়া গেল। গত ২৭ নভেম্বর রামনগর থানা এলাকার এক দম্পতির একমাস একদিনের শিশু কন্যা জ্বরে আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসা করেও জ্বর না কমলে ৩০ নভেম্বর কোলাঘাট শুশ্রূষা নার্সিং হোমে ভর্তি করান। শিশুটির জ্বরের পাশাপাশি মাল্টি অর্গান ফেলিওরও হয়ে যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায় শিশুটি করোনা পজিটিভ। রক্ত দেওয়া থেকে প্লাজমা থেরাপিও চলে।
বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক প্রবীর ভৌমিক জানান, শিশুটির ক্ষেত্রে কাওয়াসাকি রোগের কোন লক্ষ্মন ছিল না। করোনাকালে পিআইএমএস আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করেছি। ২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা পি আই এম এস আক্রান্ত হয়। কিন্তু এক মাসের শিশু সংক্রমণ এই প্রথম। স্বভাবত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এমন ঘটনা নেই। প্রবীরবাবু বলেন শিশুটির পরিবারের মধ্যে কেউ করোনার বাহক ছিলেন। সেখান থেকেই শিশুটি আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসার পর সুস্থ বর্তমানে রিপোর্ট নেগেটিভ।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট পেতে চলেছে বাঙালি প্রধান বিচারপতি