পরিচারিকার সঙ্গে সনাতনের সম্পর্কে আপত্তি ছিল গ্রামের, পুরুলিয়ার শিশু নির্যাতনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এসএসকেএমের পিকুতে ভর্তি পুরুলিয়ার শিশুটির অবস্থা এখনও সংকটজনক। শরীরে আটটি সূচ এখনও বিঁধে রয়েছে। সোমবার শিশুটির অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা। যৌনাঙ্গ, মুখ, চোখ, সারা শরীরেই ক্ষত
এসএসকেএমের পিকুতে ভর্তি পুরুলিয়ার শিশুটির অবস্থা এখনও সংকটজনক। শরীরে আটটি সূচ এখনও বিঁধে রয়েছে। সোমবার শিশুটির অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা।[আরও পড়ুন:মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার সাড়ে তিন বছরের শিশু, এখনও বের করা যায়নি শরীরে বিঁধে থাকা সূচ]
জীবনের জন্য লড়ছে সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট শিশুটি। হাসপাতালের বিছানায় তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হওয়া ওই শিশু কন্যা। গত সোমবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া দেবেন মাহতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। চিকিৎসকরা শিশুটির অবস্থা দেখে শিউরে ওঠেন। যৌনাঙ্গ, মুখ, চোখ- সারা শরীরেই ক্ষত। একইসঙ্গে একটি হাতও ছিল ভাঙা।
শনিবার বিকেলে কলকাতায় আনা হয় শিশুটিকে। ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ পিকুতে। শিশুটি চিকিৎসার জন্য ৫সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রোপচার করেই দেহে বিঁধে থাকা সূচগুলি বের করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শিশুটির দেহে ফ্লুইডের মাত্রা খুবই কম। আপাতত দেহের বাইরের ক্ষতগুলির চিকিৎসা করে কিছুটা স্থিতিশীল হলে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। সেই সময়ই দেহে বিঁধিয়ে দেওয়া সুঁচগুলি বের করার চেষ্টা করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
শিশুটির মা স্বামী পরিত্যক্তা। পুরুলিয়ার মফস্সল থানার নদিয়ারা গ্রামেরই বাসিন্দা ওই মহিলা, গ্রামেরই সনাতন গোস্বামীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সনাতন গোস্বামীর সঙ্গেই ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সনাতন গোস্বামীই শিশুটির ওপর অত্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ। সনাতন গোস্বামীকে গ্রেফতারের দাবির সঙ্গে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।