পাহাড় আন্দোলনে নয়া কৌশল মোর্চার! পিছনে গুরুং, মুখ বিনয় তামাং
এমতাবস্থায় বিমল গুরুংয়ের পরিবর্তে মোর্চার মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন বিনয় তামাং। বিমল গুরুংকে আড়াল করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মোর্চা সর্বদলীয় বৈঠকে আসবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব সম্প্রতি বিনয় তামাংকে দলের মুখে করায় খানিক আশার আলো দেখা দিয়েছে পাহাড় নিয়ে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিস্ফোরণের পর আচমকাই মোর্চা বিমল গুরুংয়ের জায়গায় বিনয় তামাংকে সামনে নিয়ে এসেছে। আর তাতেই পাহাড়ের অন্ধকার কাটতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে মোর্চা নেতৃত্বের বৈঠকের পর পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের পথ প্রশস্ত হতে শুরু করেছিল। রাজনাথ সিংয়ের আবেদন মেনে মোর্চা অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। পাশাপাশি রাজনাথ সিং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে আর্জি জানান, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইগো ছেড়ে আলোচনায় বসার।
যদিও তার তিনদিনের মধ্যেই পাহাড়ে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু-দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। দুটি ইউএপিএ ধারা ও একটি খুনের ধারা মাথায় বিমল গুরুং এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন পুলিশের নজর এড়াতে। এমতাবস্থায় বিমল গুরুংয়ের পরিবর্তে মোর্চার মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন বিনয় তামাং। বিমল গুরুংকে আড়াল করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে।
যাই হোক দলের আহ্বায়ক হয়ে বিনয় তামাং প্রথম আহ্বান জানান, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তাঁরা। তাঁরা চান রাজ্য-কেন্দ্রকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে। মোর্চার এই ইচ্ছাপ্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জিএনএলএফ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, তাঁরা চান পাহাড়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরুক। তাঁরা শান্তি স্থাপনের পক্ষেই।
সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন। সেখানে সমস্ত বড় দল ও পাহাড়ের বোর্ডগুলিকে আহ্বান জানান। এবং জিএনএলএফ উপস্থিত থাকার আর্জি জানানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী যাঁরা পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের পক্ষে, যাঁরা উন্নয়নের পক্ষে, তাঁদের এই বৈঠকে আসার ডাক দেন তিনি। মূলত মোর্চার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই বার্তা।
এরপর এখনও মোর্চার তরফে স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি। তবে বিনয় তামাং ইঙ্গিত দিয়েছেন মোর্চা বৈঠকে যোগ দিতে পারে। তিনি বলেন, 'মোর্চা বৈঠক অংশ নিলেও, বনধ তুলবে না এখনই। রাজ্যে সেনা-পুলিশ প্রত্যাহারে সম্মত হলেই জিএমসিসি-র বৈঠকে ডেকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।'