ভিটের মায়া কাটিয়ে শঙ্কামুক্তি, এয়ার লিফটিং করে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার কপ্টারের
এনডিআরএফ নৌকা নিয়ে গিয়েও ফিরে এসেছিল। সেনা কপ্টারেও উঠতে চাননি দুর্গতরা। অবশেষে এয়ার লিফটিং করে বানভাসিদের উদ্ধার করা হয়।
অবশেষে ঘাটালে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে আটকে থাকা বানভাসিদের উদ্ধার করল বায়ুসেনা কপ্টার। কপ্টারের সফল এয়ার লিফটিং-এ বন্যায় আটকে পড়া ৩০ জনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় সেনা। শনিবার অনেক চেষ্টার পর বন্যাপীড়িতদের কপ্টারে তুলে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ত্রাণ শিবিরে নামানো হয়।
শিলাবতী নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ঘাটালের প্রতাপপুরে আটকে পড়েন ৬৫ জন গ্রামবাসী। তাঁদের উদ্ধারের জন্য এনডিআরএফ নৌকা নিয়ে হাজির হলেও ভিটেমাটি ছেড়ে আসবেন না বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় উদ্ধারকারীদের। এরপর পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়। নদীর প্রবল স্রোতের মুখে পাকা বাড়িও ভেঙে পড়ার উপক্রম ঘটে। এই অবস্থাতেও সেনা কপ্টারে উঠতে চাননি অনেকে।
শনিবার ফের অনেক বুঝিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বন্যার্তদের উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে অনেকে বাধ্য হয়ে নৌকায় করে ত্রাণ শিবিরে আসেন। অনেকে অসুস্থ হয়ে বাধ্য হন ভিটে ছাড়তে। তাঁদেরও উদ্ধার করে এনডিআরএফ। অবশিষ্ট ৩০ জনের মত পরিবর্তন করে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার অবশেষে উদ্ধার করে তাঁদের।
এদিন দুপুর একটা নাগাদ বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে হাজির হয় সেনা কপ্টার। তারপর সেই হেলিকপ্টারই যতটা সম্ভব নিচে নামিয়ে একে একে তোলা হয় বানভাসিদের। প্রথম হেলিকপ্টারে ন'জনকে আনা হয় ত্রাণ শিবিরে। এদের মধ্যে ৬ জন শিশু ও তিন জন বয়স্ক ছিলেন। পরের তিন দফায় যথাক্রমে ১০ জন, ৫ জন ও ৬ জনকে উদ্ধার করেন বায়ুসেনারা। এর আগে এনডিআরএফ আটকে পড়া ৩৫ জনকে উদ্ধার করেছিল।