সুন্দরবনে ডেঙ্গু মোকাবিলায় অভিনব পরিকল্পনা, জলে ছাড়া হচ্ছে গাপ্পি মাছ
বর্ষা নামতেই ডেঙ্গুতে বা অজানা জ্বরে মৃত্যুর কথা শোনা যায় প্রতিবছরই। আর এই মৃত্যু যেন নিত্য দিনের অহরোহ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্ষা নামতেই ডেঙ্গুতে বা অজানা জ্বরে মৃত্যুর কথা শোনা যায় প্রতিবছরই। আর এই মৃত্যু যেন নিত্য দিনের অহরোহ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু রোধ সম্ভব হলেও প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। এবছরও কম কিছু নয়।
রাজ্যে বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমন কিছু মৃত্যুর খবরও আসছে। ইতিমধ্যেই জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মারা গিয়েছেন কয়েকজন। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ভাইরাস পাওয়া গেলেও বাকি ক্ষেত্রে অজানা জ্বরে মৃত্যু বলেই চালান চিকিৎসকরা।
রয়েছে সরকারি সতর্ক বার্তা - মশারি টানাও, জমা জল ফেলে দাও ইত্যাদি। কিন্তু তার সত্ত্বেও মৃত্যু যেন জল ভাত। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের নটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন জলাশয়ে প্রায় ৬৪ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়ল মৎস্য দপ্তর। যার বাজার মূল্য প্রায় লক্ষ টাকা।
নালা নর্দমা নোংরা জল যুক্ত জমে থাকা। এমনকি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে পুকুর সেখানে মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য। এই গাপ্পি মাছ দেয়া হল বলে মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ এর মৎস্য আধিকারিক সৈকত কুমার দাস ও পুর্তের কর্মদক্ষ শহীদুল্লাহ গাজী জানান, আমরা নটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে গাপ্পি মাছ তুলে দিয়েছি ধাপে ধাপে এগুলো আরো বেশি করে দেয়া হবে।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে,যাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার আগাম সতর্কবাণী মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।এবং মশার লার্ভা মারার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু গাপ্পি মাছ নয় এর সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন তেল, মশা মারার স্প্রে এবং মেসিন, সব রকম ব্লক প্রশাসন থেকে দেয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ।ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য।