
সুপার স্প্রেডার হতে পারে গঙ্গাসাগর, কোনও কমিটিই কিছু করতে পারবে না! আদালতে আবেদন চিকিৎসকদের
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য। গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ হাজার মানুষ বাংলায় আক্রান্ত। সেখানে দাঁড়িয়ে গঙ্গাসাগরকে ঘিরে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ। এই অবস্থায় ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসকরা। চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন, এখনই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক কলকাতা হাইকোর্ট।

আবেদন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনই গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করে দেওয়ার দরকার। এই মেলা সুপার স্প্রেডার হতে পারে বলেও আশঙ্কা। এমনকি কোন কমিটি কিছু করতে পারবেন না বলেও আদালতে দাবি চিকিৎসকদের। আজ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল। সেই মামলাতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যেই একটি ছিল চিকিৎসক সংগঠনের।
আর সেখানে ডাক্তারদের অভিযোগ, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার বাসগুলি কীভাবে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন। এই সংক্রান্ত কাগজের বের হওয়া খবর, ছবিও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
অন্যদিকে গঙ্গাসাগর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তৈরি করে দেওয়া কমিটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়। কমিটি পুনর্গঠন করার আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন আরও চারজন।
আজ সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়টিও উঠে আসে। কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এই কমিটিকে জায়গা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারীরা। কমিটিতে চিকিৎসকদের রাখার পক্ষে আবেদনকারীকে। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের কমিটি থাকা কিংবা না থাকা নিয়ে কোনও কিছু বলার নেই। আমাদের চিন্তা মানুষের জীবন নিয়ে।
তবে এদিন গঙ্গাসাগর নিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, আমরা তিনটি সংবাদপত্রে মেলা সম্পর্কে সচেতন করেছি। টেলিগ্রাফ ,বর্তমান , সানমার্গ। তিনটি আলাদা আলাদা ভাষায় তা করা হয়েছে। যাতে মানুষকে বোঝানো সহজ হয়। অন্যদিকে কমিটিতে থাকা নিয়ে এদিন রাজ্যের তরফে ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়। উনি নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন পূর্বেই। ডাক্তার দের কমিটি হলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। অন্যদিকে
প্রধান বিচারপতি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ছে এর সঙ্গে কি আপনি একমত নন। যদিও এতে সহমত জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা কি তা বিস্তারিত জানানোর জন্যে এজিকে জানান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য এই অবস্থায় সমস্ত ব্যাবস্থা নিচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মত কাজ করছে। যদিও এদিন দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এই সংক্রান্ত রাইয়দান স্থগিত রেখেছে।