সুপারস্প্রেডার হবে না তো গঙ্গাসাগর! আশঙ্কা বাড়িয়ে বাবুঘাটে করোনা পজিটিভ বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী
বাংলা জুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৬ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা বিধি মেনে যাতে গঙ্গাসাগর মেলা হয়, তার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন ক
বাংলা জুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৬ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা বিধি মেনে যাতে গঙ্গাসাগর মেলা হয়, তার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তিন সদস্যের কমিটির মাথায় থাকবেন মুখ্যসচিব।
আর এই অনুমতি পাওয়ার পরেই একদিকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি পর্ব অন্যদিকে বাবুঘাটে পুরসভার তরফে ক্যাম্প করা হয়েছে।
আর এই ক্যাম্পের মাধ্যমে ভিনরাজ্য থেকে আসা সাধু এবং পুণার্থীদের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু মেলা শুরুতেই আশঙ্কার কালো মেঘ! বাবুঘাটে আরপিসিআর টেস্টে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো না হলেও ৬ ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আর তা আসার পরেই আশঙ্কার একটা ছবি সামনে উঠে আসছে। অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে ইতিমধ্যে বাবুঘাটে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। করোনা বিধি মানার বিষয়টি নিয়ে এতোটুকু ফাক রাখতে রাজি নন কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা।
আদালতের নির্দেশের পরেই কলকাতা বাবুঘাট সংলগ্ন গঙ্গাসাগর মেলার ক্যাম্পের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার সহ পুলিশ আধিকারিকরা।
মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা থেকে শুরু করে সমস্ত কভিড বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে সবাইকে করোনা নিয়ে সতর্ক করতে মাইকিংও প্রশাসনের তরফে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগত পুণ্যার্থীদের বডি টেম্পারেচার মাপা থেকে শুরু করে রেপিড টেস্ট করা হচ্ছে নিয়ম মেনে।
তবে এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার জানান, পুণ্যার্থীদের কোভিড মেনে মাস্ক পড়ার বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। যদি কেউ তা না মানেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও এদিন পুলিশের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে গত কয়েকদিন আগে একটি মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় মেলা প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হয়। কি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানানো হয়। আর এরপরেই আদালত শর্তসাপেক্ষে এই মেলা করার অনুমত দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই সর্বস্তরে চলছে প্রস্তুতি।
তবে এই মেলা সুপার স্প্রেডার হবে না তো? এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে আরটিপিসিআর টেস্টে বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকে সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, আমরা আদালতের রায়কে সম্মান জানাই। কিন্তু আদালত রায় দিতে গিয়ে অনেক কিছু বলেছেন।
তবে এই মেলা বন্ধ করলেই বরং ভালো হতো। শুধু মেলা কিংবা ২৪ তারিখ কিংবা ৩১ তারিখকে দোষ দিয়ে লাভ হবে না বলে মত ডাক্তারবাবুর। অরিন্দমবাবুর মতে, দুর্গাপুজো থেকেই ধীরে ধীরে আয়ত্তের বাইরে গিয়েছে পরিস্থিতি।