লকডাউনের ফল, ৩০ বছর পর কলকাতার বাবুঘাটে দেখা মিলল শুশুকের
দেশে গত ৩০ দিন ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ান আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।

লকডাউনে বন্ধ যানবাহন চলাচল
এদিকে লকডাউনের মধ্যেই প্রায় কোনও যান চলাচল না থাকায় ও কলকারখানা না চলায় দূষণমুক্ত হয়ে গিয়েছে পরিবেশ। আকাশে কালো ধোঁয়া সরে যেতেই পাঞ্জাব থেকে ৩০ বছর পর হিমাচলপ্রদেশের পর্বত মালা দেখা যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি আবার যখন স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং লকডাউন উঠে যাবে, কালো চাদরে ঢাকা পরবে আমাদের এই বিশ্ব।

৩০ বছর পর কলকাতা দেখল শুশুক
এরই মধ্যে ৩০ বছর পর কলকাতা দেখল আরও এক প্রাকৃতিক আবির্ভাব। কলকাতায় দেখা মিলল শুশুকের। গঙ্গার জলে তার লাফ-ঝাঁপের সাক্ষী হল শহর। কলকাতার নদীঘাট থেকে দেখা গিয়েছে গঙ্গার জলে দাপাচ্ছে 'গঙ্গা ডলফিন' বা শুশুকরা।

গঙ্গাদূষণে শুশুকরা বিপন্ন
নদীর জলে ক্রমেই বাড়তে থাকা দূষণের ধাক্কায় মিঠে জলে বসবাসকারী এই শুশুকরা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই শুশুককে দেশের জাতীয় জলজ প্রাণী বলে ঘোষণা করে। তবে লকডাউনের ফলে হুগলি নদীর জল অনেকটাই দূষণমুক্ত হতে পেরেছে। এই কারণেই শুশুককে ফিরতে দেখা গিয়েছে।

শুশুকের এই প্রত্যাবর্তনের কারণ
শুশুকই ডলফিন গোত্রের মধ্যে একমাত্র ডলফিন যারা মিঠে জলে বাস করে। ৩০ বছর আগে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে শুশুকের দেখা মিলত। এরপর ক্রমশ দূষণ বাড়তে থাকায় এরা যেন অদৃশ্যই হয়ে গিয়েছিল। শুশুকের এই প্রত্যাবর্তন বুঝিয়ে দেয় গঙ্গার জল অনেক বিশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।