সেচ দফতরের উদাসীনতায় মালদহে গঙ্গা ভাঙ্গন অব্যাহত
সেচ দফতরের উদাসীনতায় পুজো মরসুমে গঙ্গার ভাঙ্গন অব্যাহত মালদার ভূতনিতে। আতঙ্কে মালদার ভূতনীবাসী। সামনেই বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোপূজো। একদিকে, করোনা আবহে জেরবার মানুষ। অন্যদিকে, ভাঙনের ষাঁড়াশী আক্রমনে বির্পযস্ত ভূতনীর বাসিন্দারা। এই সময়ে ঘর গোছাতে ব্যাস্ত থাকে বাঙালি।
কিন্তু এবছর সব নিয়মকাননই বদলে গিয়েছে। গত দুদিন ধরে মালদার ভূতনীর আনন্দপুর এলাকায় গঙ্গা নদীতে ব্যাপক ভাঙন হয়ে চলছে। ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বাঁধ। এই পরিস্থিতিতে যদি এভাবে ভাঙন চলতে থাকে তাহলে বাঁধে ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
বাসিন্দারা কোনরকমে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। নদী তীরবর্তী বেশ কিছু জমি জলের তলায় তলিয়ে গেছে। যার ফলে পূজো মরশুমে সমস্যায় পরেছে তারা। দিসেহারা গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার প্রেক্ষিতে সেচ দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে গ্রামের মানুষ। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল।
গ্রামের এক বাসিন্দাদের অভিযোগ, এবছর যে ভাবে ভাঙন হচ্ছে তাতে অবস্থা খুব খারাপ। ৫০-৬০টিরও বেশি বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। বাঁশ কাট দিয়ে ভাঙ রোধের কাজ করছে। আমরা চাই সেচ দফতর সঠিক ভাবে কাজ করুক না হলে অনেক গ্রাম ধ্বংশ হরে যাবে। সেচ দফতরের উদাসীনতার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি তাদের।