মুর্শিদাবাদের গদাইপুরে পেটকাটি দুর্গার পুজো হয় ঐতিহ্য মেনে
কেউ বলেন ৫০০, তো কারও মতে আড়াইশো বা তিনশো। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের পেটকাটি দুর্গার পুজোর ইতিহাস যে কবেকার, তা অবশ্য কেউ জানেন না।
কেউ বলেন ৫০০, তো কারও মতে আড়াইশো বা তিনশো। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের পেটকাটি দুর্গার পুজোর ইতিহাস যে কবেকার, তা অবশ্য কেউ জানেন না। তবে আগের মতো না হলেও ব্য়ানার্জি বাড়ির পুজোর জৌলুসে কিন্তু এখনও গোটা এলাকা আলোকিত হয়।
পেটকাটি দুর্গা
কথিত আছে, গদাইপুরের ব্যানার্জি পরিবারের পুরোহিতের মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। বহু তল্লাশির পরও নিরুদ্দেশ থাকে ওই কিশোরী। শেষ মা দুর্গা নাকি ওই পুরোহিতকে স্বপ্নাদেশ দেন। জানান যে ওই কিশোরী নাকি তাঁর কাছে গচ্ছিত। ভক্তদের আরাধনায় মুগ্ধ হয়ে নাকি দেবী নিজের পেট কেটে ওই পুরোহিতের কন্যাকে বের করেছিলেন বলে কথিত আছে। তারপর থেকেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের ব্যানার্জি বাড়িতে পেটকাটি দুর্গার পুজো হয়ে থাকে।
পুজোর রীতি
পুজোর চারদিন মা দুর্গাকে অন্ন ভোগ দেওয়া মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের ব্যানার্জি পরিবারের অন্যতম বিশেষত্ব। পুজো দেখতে রাজ্য তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে বহু মানুষ এখনও গদাইপুরে আসেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিমা শৈলী
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরের ব্যানার্জি পরিবারের দুর্গা প্রতিমার আদল কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। মোটা চোখের দেবীর এই প্রতিমাও নাকি স্বপ্নে পাওয়া বলে এ পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস।
[ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বশুরবাড়ির দুর্গা পুজোয় মানা হয় পুরনো রীতি ]