তৃণমূলের সঙ্গে ১০ বছরের ‘কন্ট্রাক্ট’ বিজেপির! একুশের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ পিরজাদা সিদ্দিকির
তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ১০ বছরের 'কন্ট্রাক্ট' হয়েছিল বিজেপির। সেই ১০ বছরের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যে এমন উলটপুরান ঘটছে। বিজেপিটা ক্রমশ তৃণমূল হয়ে উঠছে রাজ্যে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমনই চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ করলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠোর
সম্প্রতি পিরজাদার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। তিনি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট করে এবার বাংলার নির্বাচন লড়তে চলেছেন। আব্বাস সিদ্দিকি আবার নিজে একটি দল করবেন বলে চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এই অবস্থায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও মজবুত করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলেন তিনি।

তৃণমূলের সঙ্গে ২০২১ সাল পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট বিজেপির!
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়ে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ২০২১ সাল পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট হয়েছিল বিজেপির। তা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তৃণমূলীরা সবাই বিজেপি হয়ে যাচ্ছেন। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারাই বলুন- তাই যদি না হবে, তবে নিজের হাতে তৈরি করা নেতারা ভোটের আগে বিজেপিতে চলে যাবেন কেন।

তৃণমূলই বিজেপি আর বিজেপিই তৃণমূল বাংলায়!
পিরজাদার কথায়, সম্প্রতি এক নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁকে সব দিয়ে রেখেছিলেন নেত্রী। তাঁর সঙ্গে নাকি বিজেপি ও আরএসএসের ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে যোগাযোগ। তাহলে কি তৃণমূলই বিজেপি আর বিজেপিই তৃণমূল নয়। বিজেপিতে এখন সব তৃণমূল নেতাদের ভিড়। আর তাঁরা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই যোগাযোগ।

সিপিএমকে সরাতেই দরকারে তৃণমূল গড়ে তোলা!
সিদ্দিকি বলেন, ১৯৯৮-এ যখন তৃণমূলটা তৈরি হয়েছিল, তখন বিজেপির পরোক্ষ মদত ছিল। বিজেপির সমর্থনে এবং বিজেপির বলেই রাজ্যে তৈরি হয়েছিল তৃণমূল। কেন্দ্রে তখন বিজেপি সরকার। আর রাজ্যে সিপিএমের। সিপিএমকে কিছুতেই সরাতে পারছিলেন ছিলেন না তাঁরা। সিপিএমকে সরাতেই দরকার ছিল তৃণমূল গড়ে তোলার।

সকলেই চলে যাচ্ছে, তৃণমূল দলটাই বিজেপি হয়ে যাচ্ছে
তিনি বলেন, তৃণমূল তৈরি হওয়ার সময়ই চুক্তি হয়েছিল দই দলের। ক্ষমতায় এলে ১০ বছর থাকার পরই বিজেপিকে ছেড়ে দিতে হবে। সেই নিরিখে ২০২১-এ ১০ বছর হয়ে যাচ্ছে। আর ২০২১-এ তৃণমূল তাই ধীরে ধীরে বিজেপিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সকলেই চলে যাচ্ছে একে একে। তৃণমূল দলটাই বিজেপি হয়ে যাচ্ছে।

কেউ আগে যাবেন, কেউ পরে যাবেন বিজেপিতে
আব্বাসের কথায়, শুধু নাকলজ্জার খাতিরে নেত্রী একা যেতে পারবেন না তৃণমূল ছেড়ে। বাকিরা সবাই একে একে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কেউ আগে যাবেন, কেউ পরে যাবেন। যে সমস্ত আসনে মুসলিম ফ্যাক্টর সেই সব আসনের নেতারা পরে যাবেন। আর যেখানে হিন্দুরা ফ্যাক্টর, সেই নেতারা আগেই চলে যাচ্ছেন।

যদি বিজেপির শত্রু মুসলিমরা হয়, আর যদি দেশ হয়!
এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজেদের লড়াই নিজে করতে চাইছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেন, যদি বিজেপির শত্রু মুসলিমরা হয়, তবে আমরাই বুঝে নেব। আমাদের হয়ে অন্য কাউকে লড়াই করতে হবে না। আর যদি বিজেপির শত্রু দেশ হয়, তবে আসুন আমরা একসঙ্গে লড়াই করি। তা করতে রাজি নন নেত্রী। কারণ কন্ট্রাক্ট যে শেষ!

দলকে নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য অরবিন্দ মেননের, সৌগত বললেন, সত্যিই একুশে সাফ হয়ে যাবে বিজেপি