শিক্ষাঙ্গনেও মৌলবাদের করাল ছায়া, হাওড়ার পর মালদহের স্কুলেও হিজাবের দাবি
এবার শিক্ষাঙ্গনেও ঢুকে পড়ল মৌলবাদের করাল ছায়া। স্কুলে হিজাব পরে আসার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের রথবাড়ি স্কুল।
মালদহ ও হাওড়া, ২২ এপ্রিল : এবার শিক্ষাঙ্গনেও ঢুকে পড়ল মৌলবাদের করাল ছায়া। স্কুলে হিজাব পরে আসার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের রথবাড়ি স্কুল। শুধু মালদহের এই স্কুলেই নয়, কিছুদিন আগে হাওড়ার একটি স্কুলেও ছাত্রীদের হিজাব ও ছাত্রদের মাথায় টুপি পরে আসার দাবি তুলেছিল ধর্মীয় সংগঠন। আবারও সেই একই দাবি উঠে পড়ল। রাজ্যে হঠাৎ মৌলবাদের ভ্রুকুটি।
মালদহের কালিয়াচকের বিরামপুর রথবাড়ি হাইস্কুল। এই স্কুলে চলছিল ফার্স্ট টার্মিনালের পরীক্ষা। গত ১৮ এপ্রিল দেখা যায় সেই পরীক্ষায়কিছু মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে এসেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আপত্তি তোলা হয় এই হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে আসা প্রসঙ্গে। পরের দিন যেন তারা স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে আসতে বলা হয় তাদের।
কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরদিন আরও বেশি সংখ্যক ছাত্রী হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে আসে। এখানেই শেষ নয়, হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের সঙ্গে আসে দেড় শতাধিক অভিভাবকও। তাঁরা শিক্ষকদের উপর চড়াও হন। হেনস্থা করা হয় শিক্ষকদের। কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিভাবকদের দাবি, হিজাব তাঁদের ধর্মীয় পোশাক। হিজাব পরেই স্কুলে আসার অনুমতি দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁর একার পক্ষে এই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বিদ্যালয় পরিচালন সমিচির অনুমতি প্রয়োজন। সেইমতো আগামী ২৭ বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওইদিন বৈঠকের স্থির হবে, স্কুলে ড্রেসে হিজাবের ভবিষ্যৎ।
হাওড়াতেও কিছুদিন আগে একই ঘটনা ঘটে। হিজাব ও টুপি পরে স্কুলে আসার দাবি তোলা হয়। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে এই দাবি উঠছে নানা এলাকাতেও। কেন স্কুলে ধর্মীয় মৌলবাদের প্রভাব ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও সরব বহু সংগঠন। ঢাকায় এই দাবিতে