বিজেপির দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি! মোদী থেকে সুকান্ত-শুভেন্দু সবাই মাতবেন শিব পুজোয়
রাত পোহালেই সোমবার। দেশজুড়ে দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কাশীতে শিব পুজো (Shiva Puja) করবেন, অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির (BJP) কর্মসূচি পালন অনুসারে বাংলাতে শিবপুজো করবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা।

বারাণসীতে নবনির্মিত কাশী-বিশ্বনাথ ধামের দ্বারোদ্ঘাটন
বারাণসী প্রধানমন্ত্রী মোদীর লোকসভা কেন্দ্র। সেখানেই কাশী-বিশ্বনাথ ধাম নবরূপে তৈরি করা হয়েছে। সোমবার তারই দ্বারোদ্ঘাটন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তিনি পুজোও দেবেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজেপির তরফে দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথের আমলেই কাশী-বিশ্বনাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এবার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তারই দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

কর্মসূচি পালন হবে পশ্চিমবঙ্গেও
দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি পালন করবেন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর, তারকেশ্বরে শিবের পুজো দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকতে চলেছেন বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দিরে। আর বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থাকবেন নিমতলা শ্মশানঘাটের কাছে ভূতনাথ মন্দিরে।

বিজেপির অন্য নেতা-জন প্রতিনিধিরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন
রাজ্য বিজেপির অন্য নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধিরাও দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এইসব নেতারা যে যার এলাকায় শিব মন্দিরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের অম্বিকা কালনার একটি শিব মন্দিরে পুজো দেবেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র। তবে আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল কাশীপুরের সর্বমঙ্গলা ঘাটে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার স্বচ্ছ্বতা অভিযান
সোমবারের কর্মসূচির আগে রবিবার শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য বিজেপি নেতারা মন্দির চত্বর পরিষ্কার করে স্বচ্ছ্বতা অভিযানে অংশ নেন। এদিন ভূতনাথ মন্দিরে স্বচ্ছতা অভিযানে অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোটকে এক জায়গায় করতেই বিজেপির এই কর্মসূচি। কেননা এর আগে রামমন্দির নিয়ে দেশব্যাপী কর্মসূচিতে সুফল পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে বাংলায় দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত হল, ভোটের সঙ্গে শক্তি প্রদর্শনও। এছাড়াও হিন্দু সংস্কৃতিই ভারতের সংস্কৃতি এই মতবাদও সকলের সামনে ফের তুলে ধরা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।